ঐ যে বললেন, আমি তো সেই ঘরের মালিক নই; এই তো কিছু দিনের জন্য পৃথিবীতে আসা।। Philosophically এমন ভেবে নিয়ে থাকলে অনেক শান্তি মিলে! ভাল লাগল আপনার কথাগুলো। ভাল থাকবেন।
ঈশ্বর আপনাকে দেশ থেকে দূরে সরিয়ে পুরো বিশ্বটাকে হাতে তুলে দিয়েছেন দাদা! বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের জন্য আপনি দূর থেকে যা করছেন , তা হয়তো কাছে থাকলে সম্ভব হতো না। পরম করুণাময় আপনাকে সুস্থ ও সুদীর্ঘ জীবনের অধিকারী করুন, যাতে আমরা আরও বেশি কিছু পাই আপনার কাছ থেকে।
কত-কত কাল পরে আপনাকে দেখলাম মৈত্রীবাবু। বোধহয় প্রায় ৩৭ বছর পর!!! সেই ৮৭ সালের দিকে এবং তারপরও আরও কয়েক বছর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরীতে (যেটা সবার জন্য খোলা থাকত) নিয়মিত যেতাম। পাগলের পড়তাম তখন। ঐ লাইব্রেরীর শেলফে থাকা বাংলা কথাসাহিত্যের প্রায় না, বোধহয় সব বইই পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। ইংরেজি শেলফ দু'টিও অনেকখানিই শেষ করেছিলাম মনে হয়। তারপর মূল/ভিতরের লাইব্রেরীটাতে অনেক চেষ্টা করেও ঢুকতে পারিনি। শুধু চাতকের মত অতৃপ্ত তৃষ্ণা নিয়ে ওদিকে তাকিয়ে থাকতাম। তখন প্রথমদিকে অনেকদিন আপনার কাছ থেকেই বই নিতাম। আপনার কাছ থেকে উৎসাহ আর প্রশ্রয়ও পেতাম। আপনার সেই কবিসুলভ কমনীয় তরুন মুখটা এখনও মনে আছে। তখন আপনার সম্পর্কে ঐ "লাইব্রেরীয়ান" পরিচয়টা ছাড়া প্রথম দিকে আর কিছুই জানতাম না। কিন্তু আপনার শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে প্রবল উৎসাহটা আপনার ঐ দিকের পরিচয়টা না জানা সত্ত্বেও খুব ভাল ভাবেই টের পেতাম লাইব্রেরীর শেলফের বই ঘাটতে ঘাটতেই। অনেক কবিরাই বোধহয় তখন ঐখানে এসে আপনার সাথে আড্ডা দিতেন। আমার বিশেষ ভাবে মনে আছে আব্দুল মান্নান সৈয়দের কথা!!! ইনি তো মনে হয় প্রায় রোজই আসতেন এবং দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিতেন! আপনার সাথে মনে হয় তার খুবই খাতির ছিল তখন। যাইহোক, অনেকদিন পর আপনাকে সামনাসামনি না হোক, ইউটিউবে দেখেও খুব ভাল লাগল। যদিও, অস্বীকার করব না, একটু ধাক্কাও খেয়েছি! আমার স্মৃতিপটে আপনার সেই তরুন স্বপ্নমাখা চেহারাটাই মনে ছিল। হঠাৎ এতবছর পর একটু বয়সের ছাপ পড়া মুখটা দেখে মেলাতে না পেরে চমকে উঠেছিলাম খানিকটা। ভুলেই গেছিলাম কত বছর পার হয়ে গেছে এর মধ্যে। তারপর মনে পড়ল, আয়নার দিকে তাকালে দেখব আমার নিজের অবস্থা আরও খারাপ!!! হা হা হা... আমরা সবাই আসলে শেষ পর্যন্ত একই গন্তব্যের যাত্রী!!! যাইহোক, ভালো থাকবেন!
ও হ্যাঁ, একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি যা আগেও আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম কিন্তু সুযোগ হয়নি। সেটা হচ্ছে -- ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনি ঐ বাইরের লাইব্রেরীটা ছেড়ে যাওয়ার পর আপনার সাথে আর দেখা না হলেও আপনার সম্পাদিত রবীন্দ্রনাথের "প্রবন্ধ সমগ্র"-টা পড়েছি প্রকাশের কাছাকাছি কোন সময়েই মনে হয়। আজিজ বা বইমেলা থেকে কিনেছিলাম। এটা খুব ভালো কাজ করেছেন আপনি। অনেকদিন ধরে রবি বুড়োর প্রবন্ধগুলি এক জায়গায় খুঁজছিলাম, কিন্তু পাচ্ছিলাম না। তখন বোধহয় এক খণ্ডে একত্রে সব পাওয়া যেত না। অন্তত বাংলাদেশে। আর ২৯ খণ্ডের পুরো রচনাবলী কেনার ক্ষমতাও আমার ছিল না। তাই আপনার ঐ অখণ্ড "সমগ্র" টা পেয়ে খুবই উপকার হয়েছিল আমার। এজন্য আপনাকে বহুকাল আগেই ধন্যবাদ দেয়ার ইচ্ছা ছিল। আজকে দিয়ে দিলাম।
ঐ যে বললেন, আমি তো সেই ঘরের মালিক নই; এই তো কিছু দিনের জন্য পৃথিবীতে আসা।। Philosophically এমন ভেবে নিয়ে থাকলে অনেক শান্তি মিলে! ভাল লাগল আপনার কথাগুলো। ভাল থাকবেন।
"আমায় রাখতে যদি আপনঘরে বিশ্বঘরে পেতামনা ঠাঁই"--এটাই যেন আপনার জীবনে সত্য হয়ে গেছে,আজ আপনি বিশ্বের রবি হয়ে গেছেন,সারাবিশ্বে আলো ছড়াচ্ছেন।দেশের আপনাকে প্রয়োজন ছিলো,সে তো ১৬বছরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার স্বসম্মানে আপনাকে আনতে পারেনি, সে তো আমাদেরই দূর্ভাগ্য।কিন্তু আজ যাঁরা আপনাকে প্রয়োজন মনে করবে তারা নিজের গরজে আপনাকে নিশ্চয়ই খুঁজে নেবে জানি।ভালো থাকুন দাদা।সত্যি আপনাকে এসব যেন ঠিক মানায়না।আপনাকে সহজ মানুষেই মানায়।
ধন্যবাদ শিল্পী।
ঈশ্বর আপনাকে দেশ থেকে দূরে সরিয়ে পুরো বিশ্বটাকে হাতে তুলে দিয়েছেন দাদা!
বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশের জন্য আপনি দূর থেকে যা করছেন , তা হয়তো কাছে থাকলে সম্ভব হতো না।
পরম করুণাময় আপনাকে সুস্থ ও সুদীর্ঘ জীবনের অধিকারী করুন, যাতে আমরা আরও বেশি
কিছু পাই আপনার কাছ থেকে।
জয়গুরু।
কত-কত কাল পরে আপনাকে দেখলাম মৈত্রীবাবু। বোধহয় প্রায় ৩৭ বছর পর!!! সেই ৮৭ সালের দিকে এবং তারপরও আরও কয়েক বছর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের লাইব্রেরীতে (যেটা সবার জন্য খোলা থাকত) নিয়মিত যেতাম। পাগলের পড়তাম তখন। ঐ লাইব্রেরীর শেলফে থাকা বাংলা কথাসাহিত্যের প্রায় না, বোধহয় সব বইই পড়ে শেষ করে ফেলেছিলাম। ইংরেজি শেলফ দু'টিও অনেকখানিই শেষ করেছিলাম মনে হয়। তারপর মূল/ভিতরের লাইব্রেরীটাতে অনেক চেষ্টা করেও ঢুকতে পারিনি। শুধু চাতকের মত অতৃপ্ত তৃষ্ণা নিয়ে ওদিকে তাকিয়ে থাকতাম। তখন প্রথমদিকে অনেকদিন আপনার কাছ থেকেই বই নিতাম। আপনার কাছ থেকে উৎসাহ আর প্রশ্রয়ও পেতাম। আপনার সেই কবিসুলভ কমনীয় তরুন মুখটা এখনও মনে আছে। তখন আপনার সম্পর্কে ঐ "লাইব্রেরীয়ান" পরিচয়টা ছাড়া প্রথম দিকে আর কিছুই জানতাম না। কিন্তু আপনার শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে প্রবল উৎসাহটা আপনার ঐ দিকের পরিচয়টা না জানা সত্ত্বেও খুব ভাল ভাবেই টের পেতাম লাইব্রেরীর শেলফের বই ঘাটতে ঘাটতেই। অনেক কবিরাই বোধহয় তখন ঐখানে এসে আপনার সাথে আড্ডা দিতেন। আমার বিশেষ ভাবে মনে আছে আব্দুল মান্নান সৈয়দের কথা!!! ইনি তো মনে হয় প্রায় রোজই আসতেন এবং দীর্ঘক্ষণ আড্ডা দিতেন! আপনার সাথে মনে হয় তার খুবই খাতির ছিল তখন। যাইহোক, অনেকদিন পর আপনাকে সামনাসামনি না হোক, ইউটিউবে দেখেও খুব ভাল লাগল। যদিও, অস্বীকার করব না, একটু ধাক্কাও খেয়েছি! আমার স্মৃতিপটে আপনার সেই তরুন স্বপ্নমাখা চেহারাটাই মনে ছিল। হঠাৎ এতবছর পর একটু বয়সের ছাপ পড়া মুখটা দেখে মেলাতে না পেরে চমকে উঠেছিলাম খানিকটা। ভুলেই গেছিলাম কত বছর পার হয়ে গেছে এর মধ্যে। তারপর মনে পড়ল, আয়নার দিকে তাকালে দেখব আমার নিজের অবস্থা আরও খারাপ!!! হা হা হা... আমরা সবাই আসলে শেষ পর্যন্ত একই গন্তব্যের যাত্রী!!! যাইহোক, ভালো থাকবেন!
ও হ্যাঁ, একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি যা আগেও আপনাকে জানাতে চেয়েছিলাম কিন্তু সুযোগ হয়নি। সেটা হচ্ছে -- ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনি ঐ বাইরের লাইব্রেরীটা ছেড়ে যাওয়ার পর আপনার সাথে আর দেখা না হলেও আপনার সম্পাদিত রবীন্দ্রনাথের "প্রবন্ধ সমগ্র"-টা পড়েছি প্রকাশের কাছাকাছি কোন সময়েই মনে হয়। আজিজ বা বইমেলা থেকে কিনেছিলাম। এটা খুব ভালো কাজ করেছেন আপনি। অনেকদিন ধরে রবি বুড়োর প্রবন্ধগুলি এক জায়গায় খুঁজছিলাম, কিন্তু পাচ্ছিলাম না। তখন বোধহয় এক খণ্ডে একত্রে সব পাওয়া যেত না। অন্তত বাংলাদেশে। আর ২৯ খণ্ডের পুরো রচনাবলী কেনার ক্ষমতাও আমার ছিল না। তাই আপনার ঐ অখণ্ড "সমগ্র" টা পেয়ে খুবই উপকার হয়েছিল আমার। এজন্য আপনাকে বহুকাল আগেই ধন্যবাদ দেয়ার ইচ্ছা ছিল। আজকে দিয়ে দিলাম।