সম্পদ নানা রূপে থাকে; বড়সড় সম্পদের সমাহার যা এক বা একাধিক মালিকের অধিকারে থাকে এবং যা কিনা নতুন সম্পদ সৃষ্টি করতে ব্যবহার করা হয় তাই হলো পুঁজি। এই পুঁজির মালিক নতুন সম্পদ সৃষ্টি এবং বাজারে বিক্রি করে যে উদ্বৃত্ত মূল্য বা মুনাফা আদায় করে সেটাই আবার মালিকের পুঁজির বৃদ্ধি ঘটায়। মার্ক্স হিসেব কষে, ইতিহাস ঘেঁটে, যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে ঐ সম্পদ সৃষ্টি করতে নিয়োজিত যত শ্রমিক শ্রম দেন তারাই ঐ উদ্বৃত্ত মূল্য বা মুনাফার আসল হকদার। মালিকের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের যে মজুরি দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ উদ্বৃত্ত মূল্য বা মুনাফার ভগ্নাংশ মাত্র। মার্ক্স আরও দেখিয়েছেন যে ঐ যে পুঁজি, খালি চোখে সম্পদের সমাহার বটে, তা কিন্তু তার মালিকের কাছে কিছু অমোঘ দাবি নিয়ে হাজির হয়; এবং তা হলো ক্রমাগত সম্পদ বা মুনাফা বৃদ্ধি করে যাওয়া, না হলে পুঁজির মালিকেরও অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। অর্থাৎ পুঁজি একটি অতিমানবীয় শক্তি রূপে দেখা দেয় এবং মানুষেরই উপর খবরদারি করে। মোটের উপর পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এমনই একটি ব্যবস্থা যেখানে একদিকে একদল মানুষ খেটে, বঞ্চিত হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে, অন্যদিকে কিছু মানুষ অতিমানবীয় শক্তির তাড়নায়, মুনাফার আশায় ফন্দিফিকির করে জীবন পার করে দিচ্ছে। দুদিক থেকেই মানুষ সত্যিকারের মানবিক জীবনের আস্বাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আপলোড করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। মানুষ এসব খুজে খুজে দেখবে যুগ যুগ ধরে 💖
জনাব জাভেদ হুসেনের আলোচনা সরাসরি শুনতে পারলে সৌভাগ্যবান মনে করতাম।
অসাধারণ আলোচনা। যত শুনছি তত সমৃদ্ধ হচ্ছি। কলকাতা।
অসাধারণ আলাপ।
Excellent Discussion
চমৎকার আলোচনা
"বড় সুন্দর আলোচনা" _কোলকাতা।
Excellent
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা
Erokom aro alochona shunte chai.
অসাধারণ একটি প্রতিবেদন। ❤
চমৎকার বলেছেন জাভেদ ভাই।
Lal Salam master
অসাধারণ
আপনাদের ভিডিয়ো ইদানীং এয়ারফোনের এক পাশে হয় আরেকপাশে হয়না। খেয়াল রাখবেন।
পুঁজিকে কেন অযৌক্তিক বলা হল, কারো কাছে পপরিস্কার হলে একটু ব্যাখ্যা করবেন প্লিজ।
সম্পদ নানা রূপে থাকে; বড়সড় সম্পদের সমাহার যা এক বা একাধিক মালিকের অধিকারে থাকে এবং যা কিনা নতুন সম্পদ সৃষ্টি করতে ব্যবহার করা হয় তাই হলো পুঁজি। এই পুঁজির মালিক নতুন সম্পদ সৃষ্টি এবং বাজারে বিক্রি করে যে উদ্বৃত্ত মূল্য বা মুনাফা আদায় করে সেটাই আবার মালিকের পুঁজির বৃদ্ধি ঘটায়। মার্ক্স হিসেব কষে, ইতিহাস ঘেঁটে, যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন যে ঐ সম্পদ সৃষ্টি করতে নিয়োজিত যত শ্রমিক শ্রম দেন তারাই ঐ উদ্বৃত্ত মূল্য বা মুনাফার আসল হকদার। মালিকের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের যে মজুরি দেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ উদ্বৃত্ত মূল্য বা মুনাফার ভগ্নাংশ মাত্র।
মার্ক্স আরও দেখিয়েছেন যে ঐ যে পুঁজি, খালি চোখে সম্পদের সমাহার বটে, তা কিন্তু তার মালিকের কাছে কিছু অমোঘ দাবি নিয়ে হাজির হয়; এবং তা হলো ক্রমাগত সম্পদ বা মুনাফা বৃদ্ধি করে যাওয়া, না হলে পুঁজির মালিকেরও অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। অর্থাৎ পুঁজি একটি অতিমানবীয় শক্তি রূপে দেখা দেয় এবং মানুষেরই উপর খবরদারি করে। মোটের উপর পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এমনই একটি ব্যবস্থা যেখানে একদিকে একদল মানুষ খেটে, বঞ্চিত হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছে, অন্যদিকে কিছু মানুষ অতিমানবীয় শক্তির তাড়নায়, মুনাফার আশায় ফন্দিফিকির করে জীবন পার করে দিচ্ছে। দুদিক থেকেই মানুষ সত্যিকারের মানবিক জীবনের আস্বাদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
আলোচনা শোনা থেকে বিরতি নিতে পারছিলাম না।
After a long study .. i found everything is so good in Marxism. But the most impractical.