রাতের শহর পটুয়াখালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য 🇧🇩✌️

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 28 ธ.ค. 2024
  • পটুয়াখালী জেলা, প্রাচীন রাজত্ব চন্দ্রদ্বীপ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং বাউফল উপজেলার কচুয়া এই রাজত্বের রাজধানী ছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং ঘন ঘন পর্তুগীজ ও মগদের আক্রমনের কারণে এই রাজধানী পরবর্তীতে বরিশালের মাধবপাশায় স্থানান্তর করা হয়। রাজা টোডরমল, সম্রাট আকবরের মন্ত্রী; ১৫৯৯ সালে কানুনগা জিম্মক খানকে এই এলাকা জরিপ করতে পাঠান। তখন চন্দ্রদ্বীপ এর বন এলাকা চন্দ্রদ্বীপ থেকে পৃথক করে বাজুহাদবা সুরক্ষিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সেলিমাবাদ, বাজুগ উমেদপুর এবং উরানপুরে তিনটি পরগনাসহ এই অঞ্চল গঠন করা হয়। আরাকান এর বৌদ্ধ রাখাইনরা অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে বর্মী রাজার নৃশংসতায় পলায়ন করে গলাচিপা উপজেলা, কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা ও খেপুপাড়া এবং রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন দ্বীপে বসবাস শুরু করে। তারপর থেকে এই অঞ্চলে মানুষের বসতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী শহরে পাক হানাদার বাহিনী প্রথম আক্রমণ করে। ওই দিন শহরের মাতবর বাড়ি, পুরান বাজার ও ডিসি বাসভবন সংলগ্ন এলাকাসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে পটুয়াখালী জেলার সদর, গলাচিপা, কলাপাড়া সহ অন্যান্য উপজেলায় অনেকগুলো খন্ড যুদ্ধ হয়। এইসব যুদ্ধে পটুয়াখালী জেলার স্বাধীনতাকামী অনেক সূর্য সন্তান শহীদ হন। রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে, ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর পটুয়াখালী জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

ความคิดเห็น •