আমি সরাবি চলেছি পথে সরিয়ে দাড়াও যত সুফিগণ।
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 11 ก.พ. 2025
- আমি নিয়েছি শরাবে যতন!
হালাল শরাব চিনেন? যেই শরাব পানকারীরা স্বর্গের আশা রাখে না। যুগে যুগে যেই শরাব পিয়ে মাতাল হয়েছেন আউলিয়ায়ে কেরাম। ছেড়েছেন আপন মাতৃভূমি, শরাব উৎসের নৈকট্য লাভের আশায়। শরাব পিলানেওয়ালাই নিয়ন্ত্রণক।
প্রেমশরাবের কথা বলছিলাম। এটাই পান করা ফরজ আইন, হালাল। এটা পান না করে কেউ মওলার দিদারের আশা করাটা বোকামি।
আজকে প্রেমশরাবে মাতাল এক কবির কালাম পর্যবেক্ষণ করবো। নাম বজলুল করিম মন্দাকিনী আহমদীউল-কাদেরী। গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কেবলা কাবার খলিফা। সূফি কবি তিঁনি। তাঁর একটি মশহুর কালাম "আমি শরাবি চলেছি পথে"।
আসুন দেখি কি বলেন ওটাতে-
১-
আমি শরাবি চলেছি পথে,
সরে দাঁড়াওরে যত সূফিগণ
লাগিবে গন্ধ হইবে মন্দ
মলিন হবে তোদের সূফিতন।
- ব্যাখ্যাঃ এই শেরে তিঁনি রিয়াবাজ মেকি সূফিদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আমি প্রেমের শরাব পিয়ে মাতাল হয়ে হাঁটছি। সবাই সরে দাঁড়া নয়তো এটা গন্ধে তোদের মেকি ভালোবাসার স্বরূপ উন্মোচন হয়ে যাবে।
২-
তোদেরি তসবি তোদের মছল্লা
তোদের ইবাদত তোদের ইল্লাল্লা।
তোদেরি জন্য হবে মোবারক,
আমি নিয়েছি শরাবে যতন।
- ব্যাখ্যাঃ অন্তরে মোহাব্বত না রেখে তোঁতা ময়না মতো সারাদিন আল্লাহর জিকির এবং লোকদেখানোর জন্য মছল্লা (জায়নামাজ) নিয়ে মসজিদে ছুটে গিয়ে লাভ কি? এসব রিয়াবাজি (লোকদেখানো ইবাদত) বাদ দিয়ে মাওলানা মন্দাকিনী আহমদীউল-কাদেরী প্রেমেরশরাবকে নিজের জন্য নির্ধারিত করে নিয়েছেন৷ অর্থাৎ অন্তরে মোহাব্বত না রেখে, বরং হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার লালন করে যত ইবাদতই করুন আল্লাহর দরবারে তার কোনো মূল্য নেই।
৩-
আমি চলেছি শরাবখানা,
যাঁরি নেশাতে জগৎ দিওয়ানা,
রুমি-জিলানী-মঈনে চিস্তি
জোনায়েদ-শিবলী হইল মগন।
- ব্যাখ্যাঃ অর্থাৎ আহলে বাইত আলাইহিস সালাম নায়েবে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আউলিয়ায়ে কেরামের কদমে যাচ্ছেন। যেখানে প্রেমের শরাব পাওয়া যায়। সঠিক ঈমান পাওয়া যায়। আল্লাহর অলি বা বন্ধুদের দরবারে গেলে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হন।
যেমন কুরআনে পাকে এরশাদ হয়েছেঃ
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ্ পাককে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় বা ওসিলা তালাশ কর। যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ। (সূরা মায়েদা- সূরা নিসা)
কবি নজরুল বলেন- "এ কোন্ মধুর শরাব দিলে আল-আরাবী সাকী, নেশায় হলাম দিওয়ানা যে, রঙিন হ'ল আঁখি।
৪-
তোমরা সুখে বেহেস্তে যাবে,
তু-হুর গেলমা কত কি পাবে,
আমি বেচারা প্রেমেরি মারা,
ঘুরে বেড়াব গহন কানন।
- ব্যাখ্যাঃ যারা আল্লাহর প্রেমে মজে তাঁর এবং তাঁর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর নৈকট্য অর্জন ব্যাকুল তারা বেহেশতের লোভ করেনা। কারণ বেহেশত তো হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এঁর কদম মোবারকে ঝোঁক আছে।
কবি নজরুলের ভাষায়- "খোদার প্রেমের শরাব পিয়ে বেহুশ হয়ে রই পড়ে। দুনিয়াদারীর শেষে আমার নাজ রোজার বদলাতে, চাই না বেহেশত খোদার কাছে নিত্য মোনাজাত ক'রে।"
৫-
আমি বেচারা প্রেমেরি মারা,
প্রেমশরাবে হই আত্মহারা,
না করি পরওয়া তোদেরি ফতওয়া
নীতি বিধানের নিয়ম পালন।
- ব্যাখ্যাঃ দুনিয়ালোভী কাঠমোল্লারা কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী বিকৃত ফতোয়ার বাজার খুলেছে আল্লাহর বন্ধুদের মোহাব্বতকারীদের ওপর মারার জন্য। কিন্তু প্রেমিক তো এসবের পরোয়া করেনা।
কবি নজরুল বলেন-"মম প্রাণের পেয়ালা হর্দ্দম্ হ্যায়্ হর্দ্দম্ ভরপুর-মদ। কায়েস যেমন লায়লী লাগি’ লভিল মজনু খেতাব, যেমন ফরহাদ শিরীর প্রেমে হ’ল দিওয়ানা বেতাব। বে-খুদীতে মশগুল আমি তেমন খোদার তরে।"
৬-
জনাব ছরমদ রসিক ছিল,
রসেরি চলা তিঁনি চলিল।
কানারা তাতে ফতওয়া দিল,
বেবুঝারা তাই মারিল গর্দ্দন।
-ব্যাখ্যাঃ ছারমাদ কাশানি ফার্সি কবি। তিঁনি সৃষ্টিকে ভালোবাসার কারণে ফতোয়ার শিকার হয়েছিলেন। তঁবে রসিক কবি এসবে কান দিলেননা। তবে কিছু কানা মেকি-মুফতি তাকে ধর্মচ্যুত ফতোয়া দিল, আর কিছু আম অজ্ঞ তা অন্ধের মত বিশ্বাস করলো যাচাই না করেই।
~ রসিক তেল কাজলা ঐ লালকুর্তাওয়ালা
দিলি বড় জ্বালারে পাঞ্জাবি ওয়ালা। 🙂❤
৭-
ছেড়ে করিম এ'সব ঝগড়া,
গিয়ে ভাণ্ডারে পাতিয়ে আখড়া
জপিয়ে গাউসুল আজম জপনা,
ভজ মওলারি যুগল চরণ।
- ব্যাখ্যাঃ ফেতনাবাজদের সাথে ঝগড়া না করে, মওলানা বজলুল করিম মন্দাকিনী কেবলা তাঁর মুর্শিদ কেবলা হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী কেবলা কাবায়ে আলম সোহবতে গিয়ে তার কদমে মোরাকাবা করে কাটিয়ে দেন সময়।
গুরু নজরুলের ভাষায়- "তর্ক করে দুঃখ ছাড়া কী পেয়েছিস অবিশ্বাসী, কী পাওয়া যায় দেখনা বারেক হযরতে মোর ভালবাসি? "
খাজা আমির খসরু কেবলা কাবা বলেন,
#ফার্সি_উচ্চারণঃ
"সাকি পিয়া কো জু ম্যায় না দেখো
তো ক্যায়সে কাটো আন্ধেরী রাতিয়া
না নিন্দ ন্যায়না না আনগ চ্যায়না..."
#অর্থঃ
প্রেমাস্পদ দর্শন বিনে
অন্ধকার রজনী কাটাব কেমনে
না চোখে নিদ্রা আসে না দেহে শান্তি...
সর্বহযরত জিগার মুরাদাবাদী,জোশ মালিহাবাদী,মীর আনিস,কামার জালালভী,হাফেজ বানারসি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) প্রমুখ বলেন-
"এটা প্রেম পানশালা,এখানে প্রেমে মাতাল রয়-
এখানে প্রেমপিলানেওয়ালা সবার ইমাম হয়।"
শেষ করি। উপসংহার- এটা পানশালা। এখানে প্রেমের শরাব পিলানো হয়। এখানে ফতোয়াও প্রেম হয়। প্রেমের ছোয়ায় অমানুষ মানুষ হয়, কঠিন হৃদয় গলে যায়। এখানে আশেকরা তড়ফায়। প্রেমের আওয়াজে ফতোয়া ভেসে যায়।