পারিবারিক বিষয়__তবুও লিখতে হচ্ছে বেশ ক'বছর আগে আমার ছোটবোনের বিয়ে হয়। ছেলেকে আমি আর বাবা দেখি। জানতে পারি ছেলে হাফেজ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় বাড়ি ছিল, কিন্তু তা বিক্রি করে এখন ঢকার কেরানীগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকে। পরে বাড়ি করবে। কেরানীগঞ্জে একটি হেফজখানায় চাকুরী করে। বাবার পছন্দ হয়, তাই কথা বাড়াইনি। বিয়ে সম্পন্ন হয়। মাস দুয়েক পর যা শোনলাম, তাতে আমরা সবাই চরম চিন্তিত হয়ে পড়ি। ছেলের মা যৌতুকের জন্য বোনকে চাপ দিতে শুরু করে! ছেলেকে আমার বোন এসব জানালে ছেলে মায়ের হয়ে কথা বলে। ছেলের বাবার সঙ্গে ছেলের মায়ের মিল নেই বহুবছর! এ সবকিছুই বোনের বিয়ের পর জানতে পারি। এর একদুইমাস পর শুরু হয় বোনের ওপর অত্যাচার! আমরা সবাই ভীষণ কষ্ট পাই। সবার ছোটবোন বলে আমরা বেশ কিছু মালামাল কিনে দিই। কাউকে বলতেও পারছিলাম না ইজ্জতের কথা ভেবে। ছেলেটাও চরম বেয়াদব ও অহঙ্কারী। আমার বাবার সঙ্গে বহুবার বেয়াদবী করেছে। হঠাৎ শুনি সে ওয়াজ করে! আমার বোনকে চাপ সৃষ্টি করে আমরা যেন তাকে দাওয়াতের ব্যবস্থা করে দিই। বোনকে বুঝালাম- ছেলে আলেম নয়, সে কী ওয়াজ করবে? যেসবের বিরুদ্ধে কথা বলি, সেটা এখন আমরা করে দিই কীভাবে? মানে আলেম না হয়ে ওয়াজ করবে কেন? এই খাহেশ শুধু দীন বেচে খাওয়ার ধান্দা। কেননা আলেম না হয়ে ওয়াজ করতে চাওয়া মানেই উদ্ভট কথাবার্তা বলে টাকা রুজী করা। পরে শুনি সে কখনও আমাদের ছোটভাই, কখনও ভগ্নিপতি, আবার কখনও কুয়াকাটা পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করা শুরু করেছে! এবং যারা আমাদের নিন্দুক, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে! এর মাঝে বহু কাণ্ড ঘটিয়েছে ছেলেটা। আমাদের পরিবারের কোনো মহিলা, ঠিকভাবে বাড়ির এড়িয়াও চেনে না। সেখানে একদিন এই ছেলে তালাকের শর্ত দিয়ে আমার বোনকে একা ঢাকা যেতে বাধ্য করেছিল। এমন ঘটনাও বেশ কয়েকবার করেছে! আমরা বহু চেষ্টা করেছি ওর থেকে বোনকে নিয়ে আসব, কিন্তু বোনের ধর্যের কাছে হার মেনেছি। কখনও কখনও একমাসে একবারও খবর নিতো না। একা এক বাসায় রেখে দুই তিন কেজি আলু ও চাউল রেখে চলে যেত। পাশের বাসার লোকজন বলেছে- কখনও কখনও আমার বোনকে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে তারা খাবার দিয়ে গেছে। অনেক সময় ওর মা আমার বোনের বুকের ওপর বসে চরম নির্যাতনও করেছে৷ ওকে এসব জানালে ও ওর মায়ের হয়েই কথা বলত। মূলত আমার বোনকে ব্যবহার করে ওয়াজের ব্যবসা করাই ওর মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমরা সবকিছু জানার পরও বোনের দিকে তাকিয়ে কিচ্ছু বলিনি। বহুবার বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন অত্যাচার দৈনন্দিনই চালিয়েছে। বোনের একটা বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেছে এই নরপিশাচ। গর্ভ অবস্থায় একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার তুই একা কোত্থেকে? শুনি ওর জামাই ওকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে, আর বলে গেছে ওকে যেন আমি সেলাইমেশিনের কাজ শেখাই! হঠাৎ আবার দেখি না বলেই বোন একা বাসা থেকে নেমে গেছে! পরে জানতে পারি ওকে তালাকের শর্ত দিয়েছে, ও যেন না বলে একা যাত্রাবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জে চলে যায়। যে বোন একা ঘরের বাইরে গেলে রাস্তা চেনে না, সেই বোন গর্ভ অবস্থায় যাত্রবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জ যেতে বাধ্য হয়েছে শুধু সংসারটা টিকাবার জন্য। এরপর শুনি গর্ভাবস্থায়ও ওর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ঐ জানোয়ার এবং নির্যাতনে বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গেছে। সর্বশেষ হঠাৎ একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার আবার একা? আমার আহলিয়া জানালো- ওর সারা শরীরে অত্যাচারের দাগ। এমন অত্যাচার করেছে, ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে ও! নিজেকে সংবরণ করতে পারিনি। কিন্তু আশ্চার্যের কথা হলো- এই যে বোনটা চলে এলো, তিনমাসেও খবর নেয়নি জামাই; ওর স্ত্রী বাসায় নেই, কোথায় গেলো, কোনো সমস্যা হলো কী না, কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। আমরা ওকে কিছু না বলার কারণে, ওর যেভাবে মনে চেয়েছে বোনকে কষ্ট দিয়েছে। সামান্যতম মূল্যায়ন বা স্ত্রীর হক আদায় করেনি ঐ নরপিশাচটা। বহু নাটকের পর, গত সপ্তাহে ওর থেকে বোনকে ছাড়িয়ে এনেছি। সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, ও যদি কোথাও আমাদের পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করতে যায়, আপনারা প্রতিহত করবেন এবং ঐ নরপিশাচসহ বেআলেম বক্তাদের বয়কট করুন। তবে ওর কপাল ভালো, ও একবারও আমার সামনে পড়েনি। ওর নাম হাফেজ মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস আব্বা আম্মার অনুরোধেই নরপিশাচটার সামান্য মুখোশ উন্মোচন করলাম। তাঁরা ভীষণ কষ্ট নিয়ে আছেন জানোয়ারটার ব্যাপারে। তাঁরা চান ওর আসল চরিত্রটা সবাই জানুক এবং সতর্ক হোক! বি.দ্র. এই লেখায় নূন্যতম বানোয়াটি নাই বরং অনেক কমিয়ে লেখা হয়েছে।
পারিবারিক বিষয়__তবুও লিখতে হচ্ছে বেশ ক'বছর আগে আমার ছোটবোনের বিয়ে হয়। ছেলেকে আমি আর বাবা দেখি। জানতে পারি ছেলে হাফেজ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় বাড়ি ছিল, কিন্তু তা বিক্রি করে এখন ঢকার কেরানীগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকে। পরে বাড়ি করবে। কেরানীগঞ্জে একটি হেফজখানায় চাকুরী করে। বাবার পছন্দ হয়, তাই কথা বাড়াইনি। বিয়ে সম্পন্ন হয়। মাস দুয়েক পর যা শোনলাম, তাতে আমরা সবাই চরম চিন্তিত হয়ে পড়ি। ছেলের মা যৌতুকের জন্য বোনকে চাপ দিতে শুরু করে! ছেলেকে আমার বোন এসব জানালে ছেলে মায়ের হয়ে কথা বলে। ছেলের বাবার সঙ্গে ছেলের মায়ের মিল নেই বহুবছর! এ সবকিছুই বোনের বিয়ের পর জানতে পারি। এর একদুইমাস পর শুরু হয় বোনের ওপর অত্যাচার! আমরা সবাই ভীষণ কষ্ট পাই। সবার ছোটবোন বলে আমরা বেশ কিছু মালামাল কিনে দিই। কাউকে বলতেও পারছিলাম না ইজ্জতের কথা ভেবে। ছেলেটাও চরম বেয়াদব ও অহঙ্কারী। আমার বাবার সঙ্গে বহুবার বেয়াদবী করেছে। হঠাৎ শুনি সে ওয়াজ করে! আমার বোনকে চাপ সৃষ্টি করে আমরা যেন তাকে দাওয়াতের ব্যবস্থা করে দিই। বোনকে বুঝালাম- ছেলে আলেম নয়, সে কী ওয়াজ করবে? যেসবের বিরুদ্ধে কথা বলি, সেটা এখন আমরা করে দিই কীভাবে? মানে আলেম না হয়ে ওয়াজ করবে কেন? এই খাহেশ শুধু দীন বেচে খাওয়ার ধান্দা। কেননা আলেম না হয়ে ওয়াজ করতে চাওয়া মানেই উদ্ভট কথাবার্তা বলে টাকা রুজী করা। পরে শুনি সে কখনও আমাদের ছোটভাই, কখনও ভগ্নিপতি, আবার কখনও কুয়াকাটা পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করা শুরু করেছে! এবং যারা আমাদের নিন্দুক, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে! এর মাঝে বহু কাণ্ড ঘটিয়েছে ছেলেটা। আমাদের পরিবারের কোনো মহিলা, ঠিকভাবে বাড়ির এড়িয়াও চেনে না। সেখানে একদিন এই ছেলে তালাকের শর্ত দিয়ে আমার বোনকে একা ঢাকা যেতে বাধ্য করেছিল। এমন ঘটনাও বেশ কয়েকবার করেছে! আমরা বহু চেষ্টা করেছি ওর থেকে বোনকে নিয়ে আসব, কিন্তু বোনের ধর্যের কাছে হার মেনেছি। কখনও কখনও একমাসে একবারও খবর নিতো না। একা এক বাসায় রেখে দুই তিন কেজি আলু ও চাউল রেখে চলে যেত। পাশের বাসার লোকজন বলেছে- কখনও কখনও আমার বোনকে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে তারা খাবার দিয়ে গেছে। অনেক সময় ওর মা আমার বোনের বুকের ওপর বসে চরম নির্যাতনও করেছে৷ ওকে এসব জানালে ও ওর মায়ের হয়েই কথা বলত। মূলত আমার বোনকে ব্যবহার করে ওয়াজের ব্যবসা করাই ওর মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমরা সবকিছু জানার পরও বোনের দিকে তাকিয়ে কিচ্ছু বলিনি। বহুবার বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন অত্যাচার দৈনন্দিনই চালিয়েছে। বোনের একটা বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেছে এই নরপিশাচ। গর্ভ অবস্থায় একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার তুই একা কোত্থেকে? শুনি ওর জামাই ওকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে, আর বলে গেছে ওকে যেন আমি সেলাইমেশিনের কাজ শেখাই! হঠাৎ আবার দেখি না বলেই বোন একা বাসা থেকে নেমে গেছে! পরে জানতে পারি ওকে তালাকের শর্ত দিয়েছে, ও যেন না বলে একা যাত্রাবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জে চলে যায়। যে বোন একা ঘরের বাইরে গেলে রাস্তা চেনে না, সেই বোন গর্ভ অবস্থায় যাত্রবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জ যেতে বাধ্য হয়েছে শুধু সংসারটা টিকাবার জন্য। এরপর শুনি গর্ভাবস্থায়ও ওর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ঐ জানোয়ার এবং নির্যাতনে বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গেছে। সর্বশেষ হঠাৎ একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার আবার একা? আমার আহলিয়া জানালো- ওর সারা শরীরে অত্যাচারের দাগ। এমন অত্যাচার করেছে, ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে ও! নিজেকে সংবরণ করতে পারিনি। কিন্তু আশ্চার্যের কথা হলো- এই যে বোনটা চলে এলো, তিনমাসেও খবর নেয়নি জামাই; ওর স্ত্রী বাসায় নেই, কোথায় গেলো, কোনো সমস্যা হলো কী না, কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। আমরা ওকে কিছু না বলার কারণে, ওর যেভাবে মনে চেয়েছে বোনকে কষ্ট দিয়েছে। সামান্যতম মূল্যায়ন বা স্ত্রীর হক আদায় করেনি ঐ নরপিশাচটা। বহু নাটকের পর, গত সপ্তাহে ওর থেকে বোনকে ছাড়িয়ে এনেছি। সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, ও যদি কোথাও আমাদের পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করতে যায়, আপনারা প্রতিহত করবেন এবং ঐ নরপিশাচসহ বেআলেম বক্তাদের বয়কট করুন। তবে ওর কপাল ভালো, ও একবারও আমার সামনে পড়েনি। যেদিন সামনে পড়বে, সেদিন... ওর নাম হাফেজ মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস আব্বা আম্মার অনুরোধেই নরপিশাচটার সামান্য মুখোশ উন্মোচন করলাম। তাঁরা ভীষণ কষ্ট নিয়ে আছেন জানোয়ারটার ব্যাপারে। তাঁরা চান ওর আসল চরিত্রটা সবাই জানুক এবং সতর্ক হোক! বি.দ্র. এই লেখায় নূন্যতম বানোয়াটি নাই বরং অনেক কমিয়ে লেখা হয়েছে।copy
অনেক ভালো লাগলো ওয়াজটা
কুয়াকাটা মানেই মধুর ওয়াজ হাফিজুর রহমান আমার কলিজার টুকরা
অনেক ভালো ওয়াজটি আমিন
আল্লাহ আকবার আল্লাহ আকবার আল্লাহ হুজুরের বয়ান শুনে আমলের তোপিক দান করেন আমিন সুমমা আমিন আমিন
ফসগ
জাযাকাল্লাহ হুজুর এর জুমার বয়ান শুনতে চাই
জাযাকাল্লাহ
কুয়কাটার হুজুরদের মধুর কন্ঠ, আমিন
Bhai Onek Sundor Bowan
আলহামদুলিল্লাহ
মাস আল্লাহ অনেক সুন্দর বয়ান
মাসা আল্লাহ
মাশা আল্লাহ
Nice lagse voice khub sundor.
amin
Amin
মাশআল্লাহ্
Mashallah
আমিন
ওয়াজটি ভাল লাগছে আপনাকে ধন্যবাদ
Masha Allah
MASHA ALLAH
এই ওয়াজ টি সম্পূর্ণ কোথায় পেতে পারি কেও কি বলতে পারেন
Alhamdrllh
Subahanallah
Vay
vai sob tuku waz ta dile valo hoto
আমিন আমিন
সিস্বব
Maulanamahmudul hasan. Huzurer. Boyan kub valo. Lagse
Allah Apnake. Sorborda. Shusto. Rakun. Hefazot. Rakun
Ameen
Amen
Nice
আলামিন সেখ
amin.
amin
alamin
Thanks for only u
আমিন
উনার চ্যানেল কে বর্জন করুন
পারিবারিক বিষয়__তবুও লিখতে হচ্ছে
বেশ ক'বছর আগে আমার ছোটবোনের বিয়ে হয়। ছেলেকে আমি আর বাবা দেখি। জানতে পারি ছেলে হাফেজ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় বাড়ি ছিল, কিন্তু তা বিক্রি করে এখন ঢকার কেরানীগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকে। পরে বাড়ি করবে। কেরানীগঞ্জে একটি হেফজখানায় চাকুরী করে। বাবার পছন্দ হয়, তাই কথা বাড়াইনি। বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মাস দুয়েক পর যা শোনলাম, তাতে আমরা সবাই চরম চিন্তিত হয়ে পড়ি। ছেলের মা যৌতুকের জন্য বোনকে চাপ দিতে শুরু করে! ছেলেকে আমার বোন এসব জানালে ছেলে মায়ের হয়ে কথা বলে। ছেলের বাবার সঙ্গে ছেলের মায়ের মিল নেই বহুবছর! এ সবকিছুই বোনের বিয়ের পর জানতে পারি।
এর একদুইমাস পর শুরু হয় বোনের ওপর অত্যাচার! আমরা সবাই ভীষণ কষ্ট পাই। সবার ছোটবোন বলে আমরা বেশ কিছু মালামাল কিনে দিই। কাউকে বলতেও পারছিলাম না ইজ্জতের কথা ভেবে। ছেলেটাও চরম বেয়াদব ও অহঙ্কারী। আমার বাবার সঙ্গে বহুবার বেয়াদবী করেছে।
হঠাৎ শুনি সে ওয়াজ করে! আমার বোনকে চাপ সৃষ্টি করে আমরা যেন তাকে দাওয়াতের ব্যবস্থা করে দিই। বোনকে বুঝালাম- ছেলে আলেম নয়, সে কী ওয়াজ করবে? যেসবের বিরুদ্ধে কথা বলি, সেটা এখন আমরা করে দিই কীভাবে? মানে আলেম না হয়ে ওয়াজ করবে কেন? এই খাহেশ শুধু দীন বেচে খাওয়ার ধান্দা। কেননা আলেম না হয়ে ওয়াজ করতে চাওয়া মানেই উদ্ভট কথাবার্তা বলে টাকা রুজী করা।
পরে শুনি সে কখনও আমাদের ছোটভাই, কখনও ভগ্নিপতি, আবার কখনও কুয়াকাটা পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করা শুরু করেছে! এবং যারা আমাদের নিন্দুক, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে!
এর মাঝে বহু কাণ্ড ঘটিয়েছে ছেলেটা। আমাদের পরিবারের কোনো মহিলা, ঠিকভাবে বাড়ির এড়িয়াও চেনে না। সেখানে একদিন এই ছেলে তালাকের শর্ত দিয়ে আমার বোনকে একা ঢাকা যেতে বাধ্য করেছিল। এমন ঘটনাও বেশ কয়েকবার করেছে! আমরা বহু চেষ্টা করেছি ওর থেকে বোনকে নিয়ে আসব, কিন্তু বোনের ধর্যের কাছে হার মেনেছি। কখনও কখনও একমাসে একবারও খবর নিতো না। একা এক বাসায় রেখে দুই তিন কেজি আলু ও চাউল রেখে চলে যেত। পাশের বাসার লোকজন বলেছে- কখনও কখনও আমার বোনকে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে তারা খাবার দিয়ে গেছে।
অনেক সময় ওর মা আমার বোনের বুকের ওপর বসে চরম নির্যাতনও করেছে৷ ওকে এসব জানালে ও ওর মায়ের হয়েই কথা বলত। মূলত আমার বোনকে ব্যবহার করে ওয়াজের ব্যবসা করাই ওর মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমরা সবকিছু জানার পরও বোনের দিকে তাকিয়ে কিচ্ছু বলিনি। বহুবার বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন অত্যাচার দৈনন্দিনই চালিয়েছে। বোনের একটা বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেছে এই নরপিশাচ। গর্ভ অবস্থায় একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার তুই একা কোত্থেকে? শুনি ওর জামাই ওকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে, আর বলে গেছে ওকে যেন আমি সেলাইমেশিনের কাজ শেখাই! হঠাৎ আবার দেখি না বলেই বোন একা বাসা থেকে নেমে গেছে! পরে জানতে পারি ওকে তালাকের শর্ত দিয়েছে, ও যেন না বলে একা যাত্রাবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জে চলে যায়। যে বোন একা ঘরের বাইরে গেলে রাস্তা চেনে না, সেই বোন গর্ভ অবস্থায় যাত্রবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জ যেতে বাধ্য হয়েছে শুধু সংসারটা টিকাবার জন্য। এরপর শুনি গর্ভাবস্থায়ও ওর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ঐ জানোয়ার এবং নির্যাতনে বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গেছে।
সর্বশেষ হঠাৎ একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার আবার একা? আমার আহলিয়া জানালো- ওর সারা শরীরে অত্যাচারের দাগ। এমন অত্যাচার করেছে, ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে ও! নিজেকে সংবরণ করতে পারিনি। কিন্তু আশ্চার্যের কথা হলো- এই যে বোনটা চলে এলো, তিনমাসেও খবর নেয়নি জামাই; ওর স্ত্রী বাসায় নেই, কোথায় গেলো, কোনো সমস্যা হলো কী না, কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। আমরা ওকে কিছু না বলার কারণে, ওর যেভাবে মনে চেয়েছে বোনকে কষ্ট দিয়েছে। সামান্যতম মূল্যায়ন বা স্ত্রীর হক আদায় করেনি ঐ নরপিশাচটা।
বহু নাটকের পর, গত সপ্তাহে ওর থেকে বোনকে ছাড়িয়ে এনেছি।
সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, ও যদি কোথাও আমাদের পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করতে যায়, আপনারা প্রতিহত করবেন এবং ঐ নরপিশাচসহ বেআলেম বক্তাদের বয়কট করুন। তবে ওর কপাল ভালো, ও একবারও আমার সামনে পড়েনি।
ওর নাম হাফেজ মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস
আব্বা আম্মার অনুরোধেই নরপিশাচটার সামান্য মুখোশ উন্মোচন করলাম। তাঁরা ভীষণ কষ্ট নিয়ে আছেন জানোয়ারটার ব্যাপারে। তাঁরা চান ওর আসল চরিত্রটা সবাই জানুক এবং সতর্ক হোক!
বি.দ্র. এই লেখায় নূন্যতম বানোয়াটি নাই বরং অনেক কমিয়ে লেখা হয়েছে।
মিথ্যাচার করা হইতেছে
samain sk
Hager
এই ইউটিউবার দের বলবো, ভাই এই সব বন্ডদের ওয়াজ দয়া করে না ছারাই ভাল।
তুমি খুপ ভালো, না বেয়াদবি করার যায়গা পাওনা,
নিজে নারী নির্যাতনকারী এই শালার ওয়াজ শুনা উচিৎ না৷ বউয়ের সাথে খারাপ আচরণ করেছে অনেক৷ যৌতুকের জন্যে বউকে তালাক দিছে। ওকে বর্জন করুন।
তুমিও তো বেয়াদব কারণ তাকে আগে জিগাও,
নকল ওয়াজ
Amin
আমিন
amin
amen
পারিবারিক বিষয়__তবুও লিখতে হচ্ছে
বেশ ক'বছর আগে আমার ছোটবোনের বিয়ে হয়। ছেলেকে আমি আর বাবা দেখি। জানতে পারি ছেলে হাফেজ। পটুয়াখালীর কলাপাড়া থানায় বাড়ি ছিল, কিন্তু তা বিক্রি করে এখন ঢকার কেরানীগঞ্জে ভাড়া বাসায় থাকে। পরে বাড়ি করবে। কেরানীগঞ্জে একটি হেফজখানায় চাকুরী করে। বাবার পছন্দ হয়, তাই কথা বাড়াইনি। বিয়ে সম্পন্ন হয়।
মাস দুয়েক পর যা শোনলাম, তাতে আমরা সবাই চরম চিন্তিত হয়ে পড়ি। ছেলের মা যৌতুকের জন্য বোনকে চাপ দিতে শুরু করে! ছেলেকে আমার বোন এসব জানালে ছেলে মায়ের হয়ে কথা বলে। ছেলের বাবার সঙ্গে ছেলের মায়ের মিল নেই বহুবছর! এ সবকিছুই বোনের বিয়ের পর জানতে পারি।
এর একদুইমাস পর শুরু হয় বোনের ওপর অত্যাচার! আমরা সবাই ভীষণ কষ্ট পাই। সবার ছোটবোন বলে আমরা বেশ কিছু মালামাল কিনে দিই। কাউকে বলতেও পারছিলাম না ইজ্জতের কথা ভেবে। ছেলেটাও চরম বেয়াদব ও অহঙ্কারী। আমার বাবার সঙ্গে বহুবার বেয়াদবী করেছে।
হঠাৎ শুনি সে ওয়াজ করে! আমার বোনকে চাপ সৃষ্টি করে আমরা যেন তাকে দাওয়াতের ব্যবস্থা করে দিই। বোনকে বুঝালাম- ছেলে আলেম নয়, সে কী ওয়াজ করবে? যেসবের বিরুদ্ধে কথা বলি, সেটা এখন আমরা করে দিই কীভাবে? মানে আলেম না হয়ে ওয়াজ করবে কেন? এই খাহেশ শুধু দীন বেচে খাওয়ার ধান্দা। কেননা আলেম না হয়ে ওয়াজ করতে চাওয়া মানেই উদ্ভট কথাবার্তা বলে টাকা রুজী করা।
পরে শুনি সে কখনও আমাদের ছোটভাই, কখনও ভগ্নিপতি, আবার কখনও কুয়াকাটা পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করা শুরু করেছে! এবং যারা আমাদের নিন্দুক, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে!
এর মাঝে বহু কাণ্ড ঘটিয়েছে ছেলেটা। আমাদের পরিবারের কোনো মহিলা, ঠিকভাবে বাড়ির এড়িয়াও চেনে না। সেখানে একদিন এই ছেলে তালাকের শর্ত দিয়ে আমার বোনকে একা ঢাকা যেতে বাধ্য করেছিল। এমন ঘটনাও বেশ কয়েকবার করেছে! আমরা বহু চেষ্টা করেছি ওর থেকে বোনকে নিয়ে আসব, কিন্তু বোনের ধর্যের কাছে হার মেনেছি। কখনও কখনও একমাসে একবারও খবর নিতো না। একা এক বাসায় রেখে দুই তিন কেজি আলু ও চাউল রেখে চলে যেত। পাশের বাসার লোকজন বলেছে- কখনও কখনও আমার বোনকে বারান্দায় পড়ে থাকতে দেখে তারা খাবার দিয়ে গেছে।
অনেক সময় ওর মা আমার বোনের বুকের ওপর বসে চরম নির্যাতনও করেছে৷ ওকে এসব জানালে ও ওর মায়ের হয়েই কথা বলত। মূলত আমার বোনকে ব্যবহার করে ওয়াজের ব্যবসা করাই ওর মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমরা সবকিছু জানার পরও বোনের দিকে তাকিয়ে কিচ্ছু বলিনি। বহুবার বোনকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন অত্যাচার দৈনন্দিনই চালিয়েছে। বোনের একটা বাচ্চাও নষ্ট করে ফেলেছে এই নরপিশাচ। গর্ভ অবস্থায় একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার তুই একা কোত্থেকে? শুনি ওর জামাই ওকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে, আর বলে গেছে ওকে যেন আমি সেলাইমেশিনের কাজ শেখাই! হঠাৎ আবার দেখি না বলেই বোন একা বাসা থেকে নেমে গেছে! পরে জানতে পারি ওকে তালাকের শর্ত দিয়েছে, ও যেন না বলে একা যাত্রাবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জে চলে যায়। যে বোন একা ঘরের বাইরে গেলে রাস্তা চেনে না, সেই বোন গর্ভ অবস্থায় যাত্রবাড়ি থেকে কেরানীগঞ্জ যেতে বাধ্য হয়েছে শুধু সংসারটা টিকাবার জন্য। এরপর শুনি গর্ভাবস্থায়ও ওর ওপর নির্যাতন চালিয়ে ঐ জানোয়ার এবং নির্যাতনে বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গেছে।
সর্বশেষ হঠাৎ একদিন দেখি বোন আমার বাসায়! কী ব্যাপার আবার একা? আমার আহলিয়া জানালো- ওর সারা শরীরে অত্যাচারের দাগ। এমন অত্যাচার করেছে, ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে ও! নিজেকে সংবরণ করতে পারিনি। কিন্তু আশ্চার্যের কথা হলো- এই যে বোনটা চলে এলো, তিনমাসেও খবর নেয়নি জামাই; ওর স্ত্রী বাসায় নেই, কোথায় গেলো, কোনো সমস্যা হলো কী না, কোনো খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি। আমরা ওকে কিছু না বলার কারণে, ওর যেভাবে মনে চেয়েছে বোনকে কষ্ট দিয়েছে। সামান্যতম মূল্যায়ন বা স্ত্রীর হক আদায় করেনি ঐ নরপিশাচটা।
বহু নাটকের পর, গত সপ্তাহে ওর থেকে বোনকে ছাড়িয়ে এনেছি।
সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, ও যদি কোথাও আমাদের পরিচয় দিয়ে ওয়াজ করতে যায়, আপনারা প্রতিহত করবেন এবং ঐ নরপিশাচসহ বেআলেম বক্তাদের বয়কট করুন। তবে ওর কপাল ভালো, ও একবারও আমার সামনে পড়েনি। যেদিন সামনে পড়বে, সেদিন...
ওর নাম হাফেজ মাহমুদুল হাসান ফেরদাউস
আব্বা আম্মার অনুরোধেই নরপিশাচটার সামান্য মুখোশ উন্মোচন করলাম। তাঁরা ভীষণ কষ্ট নিয়ে আছেন জানোয়ারটার ব্যাপারে। তাঁরা চান ওর আসল চরিত্রটা সবাই জানুক এবং সতর্ক হোক!
বি.দ্র. এই লেখায় নূন্যতম বানোয়াটি নাই বরং অনেক কমিয়ে লেখা হয়েছে।copy
পারিবারিক এমন হতেই পারে, হাফিজুরের বোন দুধে ধোয়া তুলসীপাতা না
কথাটা কতটুকু সত্য একজন ভাল মানুষ আরেকজনের বদনাম করতে পারেনা সব বানোয়াট কথা
Amin
আমিন
আমিন
Amin
আমিন
আমিন
01720
amin
Amin