ওশ্লোর নর্ডিক ফোক মিউজিয়ামে খোঁজ পেলাম এক নতুন বেহালার, Hardanger fiddle | Norsk Folkemuseum

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 6 ก.ค. 2024
  • পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ভিওলিন, বেহালা বা ফিডেল যন্ত্রটা বিভিন্ন ভাবে তৈরী হয়েছে, ব্যবহৃত হয়েছে। ইতালির রেনেসাঁর সময় এটার একটা গ্লোবাল রূপ তৈরী হলেও, বহু জায়গাতেই তাদের আদিম রূপের কিছুটা অবশিষ্ট রয়ে গেছে। উত্তর ইউরোপ, এই চার তারের বোয়িং বাদ্য যন্ত্রের নাম ফিডেল, স্কটল্যান্ড আয়ারল্যান্ড - সর্বত্র এই নামেই পরিচিত। উত্তর সাগর পেরিয়ে স্ক্যানিনাভিয়াতেও ফিডেল নামটা পরিচিত। তবে এর স্থানীয় নাম হারডাঙ্গার ফিডেল। যন্ত্রটা বাইরে থেকে একরকম হলেও, ভিতরের কারুকার্য এবং শব্দ তৈরির প্রণালী যথেষ্ট ভিন্ন। যোগ সাহেব যে ১২ তারের বেহালা কলকাতায় বসে তৈরী করেছিলেন, তার থেকে অন্তত ৫০০ বছর আগেই, নরওয়েজিয়ানরা ৫ তা সিম্প্যাথেটিক তার সমেত ৯ তারের বেহালা বাজাতো। জানি না পন্ডিতজি এই ফিডেল সম্পর্কে জানতেন কিনা। হারডাঙ্গার ফিডলের এফ-হোল বেশ কিছুটা অবনমিত। এর জন্য শব্দের অনুনাদ অনেক বেশি।
    বাদন শৈলীতে কেল্টিক ছাপ সুস্পষ্ট। কেল্টিক আর ভাইকিং সংগীতের মধ্যে কি সংযোগ, সে বিষয় বিশেষ পড়াশুনো করা হয় নি, তবে ভূগোল থেকে আন্দাজ করাই যায়, দুই অঞ্চলের সংগীতের মধ্যে সংযোগ থাকা খুবই স্বাভাবিক। হারডাঙ্গার ফিডেলের সিম্প্যাথেটিক তার গুলোর জন্য যে অনুনাদ তৈরী হত, সেটা তৎকালীন চার্চ পছন্দ করতো না। অতিরিক্ত ৫ তার থাকার জন্য একটা বেহালা থেকেই অর্কেস্ট্রার মতো শব্দ বেরোতো। কোথা থেকে এই আওয়াজ আসতো! চার্চ দাগিয়ে দেয় শয়তানের সংগীত বলে। বন্ধ হয় নরওয়ের বেহালা। গুটি কতক সংগীত প্রেমীরা হয়তো চেয়েছিলো, তাদের সংগীত বেঁচে থাক। ঠিক কি ভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল, সে নিয়ে আরো পড়তে হবে। তবে ১৮৫০ সালের দিকে আবার হারডাঙ্গার ফিডেল মানুষের সামনে আসতে শুরু করে, অনেকটা আধুনিক বেহালার মতো রূপ নিয়ে।
    নর্ডিক ফোক মিউজিয়ামে গিয়ে এই যন্ত্র হাতে নিয়ে দেখলাম। বাজানোর ইচ্ছে ছিল, কিন্তু অন্যের যন্ত্র চাইতে ইচ্ছে করে না, তবে পরের বার চেষ্টা করবো বাজানোর!
    হারডাঙ্গার ফিডেলের একটা ছোট রেকর্ড করেছিলাম, সেটা থাকলো সাথে!

ความคิดเห็น •