মুঘল আমলের নির্মিত লালবাগ কেল্লা মসজিদ। Historiacl Lalbagh kella mosque
ฝัง
- เผยแพร่เมื่อ 2 ต.ค. 2024
- পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
লালবাগ কেল্লা মসজিদ নির্মাণকাল থেকে বয়স সাড়ে তিন শ বছর হতে চলল। কিন্তু মুঘল স্থাপত্যশৈলীর সাক্ষ্য বহনকারী লালবাগ কেল্লা মসজিদটি এখনও যেন নতুন। বাইরের রঙ চটে গেলেও ভেতরের চাকচিক্য কমেনি এতটুকু। চিড় ধরেনি নকশায়ও। মুঘল প্রাসাদ দুর্গের অন্যতম এ স্থাপণাটিতে এখনও নজর কাড়ে কেল্লায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের। এলাকার মানুষরা নিয়মিত নামাজ আদায় করেন এখানে।
নির্মাণ ইতিহাস:
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘দ্য আর্কিওলজিক্যাল হেরিটেজ অব বাংলাদেশ’ বই থেকে জানা যায়, লালবাগ কেল্লা মসজিদ, সম্রাট আওরঙ্গজেবের ৩য় পুত্র শাহজাদা আজম বাংলার সুবাদার থাকাকালীন এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন ১৬৭৮-৭৯ সালে। আয়তাকারে (১৯.১৯ মি: × ৯.৮৪ মি) নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি এদেশের প্রচলিত মুঘল মসজিদের একটি আদর্শ স্থাপত্য। কিন্তু পুরো দুর্গের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগেই আওরঙ্গজেব তাঁকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান। তাঁর উত্তরসুরী শায়েস্তা খান ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকায় অবস্থান করলেও দুর্গের কাজ সমাপ্ত করেন নি। ১৬৮৪ সালে শায়েস্তা খানের কন্যা বিবি পরী এখানে মারা গেলে দুর্গটিকে তিনি অপয়া হিসেবে বিবেচনা করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। অবশ্য তার আগেই মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ হয়ে যায়।
অবস্থান ও গঠন:
পুরান ঢাকা নগরীর দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে লালবাগ কেল্লার অবস্থান। নদীটি বর্তমানে আরও দক্ষিণে সরে গিয়ে দুর্গ থেকে বেশ খানিকটা দূর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডয়েলির অঙ্কিত চিত্র থেকে (১৮০৯-১১) দেখা যায় যে, পূর্ব-পশ্চিমে আয়তাকারে বিস্তৃত দুর্গের দক্ষিণ ও দক্ষিণপশ্চিম অংশের অর্ধেকেরও বেশি নদী সংলগ্ন ছিল। মসজিদটি কেল্লার উত্তর পশ্চিমাংশে অবস্থিত।
যেভাবে যাওয়া যাবে:
রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিউমার্কেট, আজিমপুর বা বকশী বাজার বাসস্ট্যান্ডে নেমে রিক্সায় করে মসজিদ তথা লালবাগ কেল্লায় আসা যায়। দূরত্বভেদে রিক্সা ভাড়া আলাদা আলাদা। গুলিস্তান নগরভবনের সামনে থেকে ছেড়ে আসা লেগুনায়ও যেতে পারেন।