জমির দলিল আছে, রেকর্ড আছে কিন্তু দখল নাই কিভাবে জমির দখল পাবেন? দলিল।। রেকর্ড।। খতিয়ান।। দখল।।

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 1 ต.ค. 2024
  • প্রিয় দর্শক এই পর্বের মাধ্যমে আমি আলোচনা করেছি জমির দলিল আছে রেকর্ড আছে দখল নাই কিভাবে জমির দখল পাবেন?
    ৩. ফৌজদারি আদালত:
    বেদখল হওয়ার প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় মামলা করা। আইনি প্রতিকার পার্টটি দেখুন।
    ৪. দেওয়ানি আদালত:
    এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে মামলা করা। আইনি প্রতিকার পার্টটি দেখুন।
    প্রভাব খাটিয়ে থানা পুলিশ বা প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে জমির দখল নেয়ার চেষ্টা করা। একটি ভুল ধারনার অবসান।
    অনেকে মনে করেন, যেহেতু আমার দলিল আছে, খতিয়ান আছে সুতরাং আমার জমি আমি দখল করলে সমস্যা কি। অর্থাৎ কাগজে কলমে জমি যার তিনি জোর খাটিয়ে দখলের চেষ্টা করেন। তিনি মনে করেন, আমি জমির দখল চেষ্টা করলে বিরূপ পরিস্তিতি বা দাঙ্গার সৃষ্টি হলে আমি আমার কাগজ পত্র দেখাবো। সুতরাং বিচার আমার পক্ষে আসবে কারণ আমার জমি আমি দখল না করলে কে করবে।
    এটি একটি ভুল ধারনা। এটি করলে
    প্রথমত কোন না কোন পক্ষের লোকজন হতাহত এমনকি খুন ও হতে পারে অথবা ক্ষয়ক্ষতি, লুটপাট হতে পারে। যে পরিস্থিতিতে নতুন করে ফৌজদারি মামলার উদ্ভূত হতে পারে। এতে দু পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এমনকি জমির প্রকৃত মালিক জমি ফিরে পাওয়ার বদলে ফৌজদারি মামলায় আসামি হয়ে জেলে ও যেতে হতে পারে। তখন মনে হবে, আমার জমি আমিই জেলে? আসলে আইন না জানার কারণে মানুষ জমির হকদার হয়েও আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে জেল খাটতে হয়।
    দ্বিতীয়ত কাগজে কলমে যার জমি সে যদি দখলের চেষ্টা করে তাহলে আইন শৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতি হতো। কারণ প্রভাবশালী যে কেউ অন্যের জমি দখল করা শুরু করতো আর বলতো জমি কাগজে কলমে আমার অথচ পরবর্তীতে দেখা যাচ্ছে তার কাগজ পত্রে ভুল আছে। তাই যার জমি সে প্রকৃত মালিক হলেও আইন তাকে দখলের চেষ্টাকে সমর্থন করে না। যদি করতো, দখল চেষ্টায় অসংখ্য খুন খারাবি বেড়ে যেত।
    আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আইন প্রাথমিক ভাবে যিনি দখলে আছেন তিনিই দখলে থাকবেন যদিও তিনি জমির প্রকৃত মালিক নন যতক্ষন দেওয়ানি আদালতের জমির মালিকানা বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত না আসে বা ডিক্রি না আসে। এজন্য জমির প্রকৃত মালিক দখল ফেরত পাওয়ার জন্য উচিত হলো দেওয়ানি আদালতে মামলা করা। এটিই তার আইনি প্রতিকার।
    এবার দেখি জমি থেকে বেদখল হলে আইন কী কী সুরক্ষা দেয়? তামাদি মেয়াদ অনুসারে আলোচনা।
    ১. বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে প্রতিকার: এটি একমাত্র ফৌজদারি প্রতিকার। এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর, তৎক্ষণাৎ প্রতিকার। মামলার সিদ্ধান্ত দ্রুততার সাথে নেয়া হয়। দেওয়ানি মামলার মতো দীর্ঘসূত্রিতা নাই। ফৌজদারি কার্যবিধি,
    ১৪৫ ধারা বলে জমি থেকে বেদখল হওয়ার ২ মাসের মধ্যে
    প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ মামলা করা হয়। এক্ষেত্রে একই আইনের ১৪৪ ধারা ও সংযুক্ত করা যায়। উক্ত আদালতে ১৪৫ ধারায় অভিযোগ দায়ের করার পর তিনি অভিযোগ টি আমলে নিলে অভিযুক্ত পক্ষকে একটি নোটিশ দিবেন। নোটিশে স্থান ও তারিখ উল্লেখ করে হাজির হয়ে বক্তব্য পেশ করার জন্য বলবেন। এছাড়া তিনি পুলিশকে দখল বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারেন। এটি একটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক ফৌজদারি প্রতিকার। "যিনি দখলে আছেন তিনিই দখলে থাকবেন" এই নীতি অনুসরণ করা হয়। অর্থাৎ এ আদালতে জমির প্রকৃত মালিকানা কার যাচাই করা হয় না। শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ দখলে কে ছিল তা তদন্ত করে দেখা হয়। তাই শান্তিপূর্ণ দখলদার ব্যক্তি জমির প্রকৃত মালিকানা না হলেও তিনি এই প্রতিকার পাবেন অর্থাৎ তিনি দখল ফেরত পাবেন। এসময় প্রকৃত মালিকের প্রতিকার হলো দেওয়ানি আদালতে মামলা করা। আর প্রকৃত মালিক ও যদি অন্য কারো দ্বারা বেদখল হন তিনিও এই প্রতিকার পাবেন। এটিতে মামলার খরচাপাতি দেওয়ানি মামলা থেকে অনেক কম এবং সময় সাশ্রয়ী।
    ২. বেদখল হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে প্রতিকার: বেদখল হওয়ার ২ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে এ পদক্ষেপ নেয়া যায়। অবশ্য ৬ মাসের মধ্যে এ পদক্ষেপ নিতে হবে। এটি একটি দেওয়ানি প্রতিকার। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মোতাবেক এই প্রতিকার প্রদান করা হয়। এজন্য দেওয়ানি আদালতে দখল উচ্ছেদের মামলা করতে হবে। এ মামলায় ১৪৫ ধারার মতো মালিকানা কার যাচাই করা হয় না। শুধু প্রকৃত দখল কার ছিল সেটিই প্রমাণ করা হয়। তাই মালিকানা বিষয়ক প্রমাণাদি এ মামলায় তেমন গুরুত্ব বহন করেনা। যিনি প্রমান করতে পারবেন, তিনি শান্তিপূর্ণ দখলে ছিলেন, অপরপক্ষ বেআইনি ভাবে অনুপ্রবেশ করে তাকে বেদখল করেছেন। তাকেই আদালত দখল ফেরত পেতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এই মামলার খরচ দেওয়ানি আদালতের চেয়ে কম অর্থাৎ মামলার মূল্যমানের উপর এডভোলারাম কোর্ট ফি এর অর্ধেক। এ মামলায় প্রকৃত মালিক যদি তার জমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় তার করণীয় হলো সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারা ও ৪২ ধারায় মামলা করা।
    ৩. বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে প্রতিকার: এটি একটি চূড়ান্ত পর্যায়ের দেওয়ানি প্রতিকার। সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, দীর্ঘস্থায়ী হলেও মামলার দীর্ঘসূত্রিতা ও কোর্ট ফি ও একটু বেশি। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ও ৪২ ধারা মোতাবেক স্বত্ব ঘোষণামূলক দখল উদ্ধারের মামলা করা হয়। অবশ্যই এখতিয়ারাধীন দেওয়ানি আদালতে মামলা করতে হবে। এ মামলায় দখল কার সেটি বিবেচ্য নয়। বিবেচ্য বিষয় হলো মালিকানা যাচাই যদিও মালিকানা প্রমানে দখল একটি অনুষঙ্গ মাত্র। জমির দলিল, খতিয়ান যাবতীয় কাগজ পত্র যাচাই বাছাই সাপেক্ষে আদালত প্রকৃত মালিক কে ঘোষণা করেন এবং তাকে দখল ফেরত দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মামলার মূল্যমানের উপর এডভোলারাম কোর্ট ফি দিয়ে এ মামলা করতে হবে।
    ৪. বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকার: বেদখল হওয়ার ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে আইনি প্রতিকার পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। যদি ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায় তামাদি আইনের ৫ ধারায় তামাদি মার্জনার দরখাস্ত দাখিল করে আদালত উক্তরূপ মামলা করা যায়।
    #দলিল #খতিয়ান #দখল
    Contact Information
    Phone- 01671-043256
    E-mail- lemon.law14@gmail.com
    Facebook Page- / advocateamirhamza.lemon
    Instagarm- / advocatelemon
    Twitter- / advocatelemon

ความคิดเห็น • 143