বাচ্ছাদের সঠিক শিক্ষা কিভাবে দেব? তরবিয়ত || Tarbiyaht || শায়েখ ড. মানজুরে ইলাহী || OHIR DAKE

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 18 ต.ค. 2024
  • বাচ্ছাদের সঠিক শিক্ষা কিভাবে দেব? তরবিয়ত || Tarbiyaht || শায়েখ ড. মানজুরে ইলাহী || OHIR DAKE
    তরবিয়ত মানে কি : তরবিয়ত আরবি শব্দ। এর মূলধাতু হিসেবে এর অর্থ হলো- সু-গঠিত করা, পরিপক্ক করা, প্রবৃদ্ধি ও পরিপূর্ণ করা, দায়িত্ব নেয়া শৈশব পার হওয়া পর্যন্ত এবং অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা; গৃহ আঁকড়ে ধরে তার অভ্যন্তরে অবস্থান করা এবং সেখান থেকে বের না হওয়া ইত্যাদি। অর্থাৎ ব্যক্তিকে প্রস্তুত করণ ও বিনির্মাণ এমনভাবে হতে হবে যা তাকে নিশ্চিত আত্মপ্রত্যয়ী ও অমুখাপেক্ষী হতে শেখায়।
    ইসলামী তরবিয়তের পারিভাষিক অর্থ মুসলিম তরবিয়ত বিশারদগণ ব্যাখ্যা এভাবে করেছেন- ব্যক্তিকে তার বিশ্বাস, আরাধনা, চরিত্র, বুদ্ধি ও স্বাস্থ্য এবং তার আচার ব্যবহার ও গতিবিধি তথা জীবনের প্রতিটি বাঁকে তাকে এমন একটি পুর্ণাঙ্গ পদ্ধতির ওপর নিয়ে আসা যা ইসলাম অনুমোদন করে।
    মনীষীরা কী বলেন : আল্লামা ইসফাহানী (রহ.) বলেন- রব শব্দটির মূল হচ্ছে তারবিয়াহ। আর তা হলো, কোনো বস্তুকে পর্যায়ক্রমে পূর্নাঙ্গরূপ নিয়ে যাওয়া। ইমাম বায়জাবী (রহ.)-ও অনুরূপ অর্থ করেছেন- কোন বস্তুকে ধীরে ধীরে পূর্ণতা দান করা। বিশিষ্ট হাদীস বিশারদ ইবনে হাজার (রহ.) বলেছেন- তরবিয়ত হচ্ছে কোনো বস্তুর সংগঠন ও সংশোধনের দায়িত্বভার গ্রহণ।
    কুরআন কী বলে : কুরআনের অনেক স্থানে এই শব্দটির মূল পদবাচ্য ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন- মাতা-পিতা সম্পর্কে আল্লাহর বাণী- এবং বলো, হে প্রতিপালক, তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন। [সূরা ইসরা, আয়াত ২৪]
    ইবনে জরীর তাবারী (রহ.) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন- আমার শৈশবে যেমনিভাবে তারা স্নেহ ও মায়া-মমতা দিয়ে আমাকে লালন-পালন করেছেন, যতক্ষণ না আমি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও তাদের থেকে অমুখাপেক্ষী হতে পেরেছি।
    ইমাম কুরতুবী (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআ’লার উল্লেখিত বাণীতে বিশেষভাবে তরবিয়ত শব্দের উল্লেখ করার কারণ হল, তাকে লালন-পালন করতে মা-বাবাকে যে অসামান্য ক্লেশ ও গভীর স্নেহ-মমতা প্রদর্শন করতে হয়েছে তা স্মরণ করে সন্তান যাতে তাদের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহ, অনুকম্পা ও মমতা প্রদর্শনে যত্নবান হয়। আল্লাহ তাআলার বাণী- মুসা (আ.)-এর ঘটনা উল্লেখ করতে গিয়ে ফেরআউনের কথার উদ্ধৃতি দেন এভাবে- আমি কি তোমাকে শৈশবে আমাদের মধ্যে লালন-পালন করিনি? [সূরা শুয়ারা, আয়াত ১৮]
    ইবনে কাছির (রহ.) এ আয়াতাংশের ব্যাখ্যা এভাবে করেন- তুমি কি সেই ব্যক্তি নও, যে আমার বিছানায় আমার গৃহে থেকে আমাদের মধ্যে লালিত-পালিত হয়েছো এবং তোমার জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য বয়স সীমা পর্যন্ত আমি তোমার ওপর অনুগ্রহ করেছি ?

ความคิดเห็น •