বিরামপুর উপজেলা । দিনাজপুর । Birampur। Dinajpur।

แชร์
ฝัง
  • เผยแพร่เมื่อ 18 ต.ค. 2024
  • দিনাজপুর জেলা সদর হতে ৫৬ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রমত্ত যমুনার এক শাখা নদীর কোল ঘেঁষে বিরামপুর উপজেলার অবস্থান। বিরামপুর উপজেলার পটভূমি হিসেবে উল্লেখযোগ্য যে তৎকালীন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর অত্র এলাকার বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ সহ অনেকেই এলাকার উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছিলেন। ১৯৭৭ সালে বিরামপুরে মহকুমা সৃষ্টির দাবি ওঠে। বিরামপুর থানা সৃষ্টির পূর্বে হাকিমপুর, নবাবগঞ্জ ও ফুলবাড়ী থানার সমন্বয়ে এ অঞ্চল পরিচালিত হত। নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর থানার ২টি করে ও ফুলবাড়ী থানার ৩টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে বিরামপুর থানা গঠিত হয়। ১৯৭৯ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি বিরামপুরকে থানা হিসেবে ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়িত হয় ১৯৮১ সালের ৭ই জুন অতঃপর ১৪ই সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে বিরামপুর থানাকে উন্নীত করে উপজেলাতে পরিণত করা হয় এবং পরে ১৯৯০ সালে বিরামপুর পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ১৬ই জুন ১৯৯৫ সাল হতে বিরামপুর পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৫.৭৫ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং এর রাজস্ব আয় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
    মোঘল সম্রাট আকবর বৈরামখানের অভিভাবকত্বে ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দে পানিপথের ২য় যুদ্ধে জয়লাভ করে দিল্লীর অধিপতি হন। বালেগ হয়ে বৈরামখানের অভিভাবকত্ব ছিন্ন করে মহামতি আকবর ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে কররানীকে পরাভুত করে বাংলা জয় করেন।
    কথিত আছে, আকবরের সময় বাংলার বারো ভুঁইয়াদের মধ্যে পাতরদাস নামক এক শক্তিশালী রাজা ছিলেন। তার রাজধানী ছিল এই এলাকায়। রাজা পাতরদাস মোগল সেনাপতি বৈরাম খাঁর নিকট যুদ্ধে পরাজয় বরণ করেন। সেনাপতি বৈরাম খাঁর নামে এই এলাকার নাম হয় বিরামপুর।
    আরেক ভাষ্যমতে, সম্রাট আকবর বিষ্ণুদত্তকে কান্নগো রুপে দিনাজপুরের রাজস্ব নির্ধারণ ও আদায়ের বন্দোবস্তের জন্য প্রেরণ করেন। বিষ্ণুদত্ত বৈরামখানের একনিষ্ঠ ভক্ত ছিলেন। অনেক ঐতিহাসিকের মতে এ ভক্ত বিষ্ণুদত্তই বৈরামখানের নামানুসারে ভোলাগঞ্জ নাম পরিবর্তন করে এ স্থানের নাম রাখেন বিরামপুর।
    ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরামপুর উপজেলার রয়েছে এক অনন্য গৌরবগাঁথা। তৎকালীন ৭ নং সেক্টরের মেজর নাজমুল হূদা ও মেজর নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে ভারতের তরঙ্গপুর সেক্টরে দেশ-মাতৃকার টানে ২৮০ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। অতঃপর সু-দীর্ঘ ৯ মাস প্রাণপণ যুদ্ধ করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিরামপুরবাসীর সাহায্য নিয়ে ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে বিরামপুরকে শত্রুমুক্ত করেন। এতে উপজেলার ২০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন; পঙ্গু হন ০২ জন এবং যুদ্ধে মারাত্মক ভাবে আহত হন ১৩ জন। উল্লেখ্য যে, বিরামপুরের কেটরা হাট নামক স্থানে ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের যুদ্ধে ৭ জন পাকসেনা এবং ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর ৬ ডিসেম্বর বিরামপুর উপজেলা শত্রুমুক্ত হয়।
    বিরামপুর উপজেলা দিনাজপুর-৬ আসনের অন্তর্ভুক্ত। দিনাজপুর-৬ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হলেন শিবলি সাদিক। বিরামপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন মোঃ পারভেজ কবীর। বিরামপুর উপজেলার পৌরসভার মেয়র হলেন মোঃ আক্কাস আলী। বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে মোছাঃ নুজহাত তাসনিম আওন দায়িত্ব পালন করছেন। বিরামপুর উপজেলায় ১টি পৌরসভা, ৭টি ইউনিয়ন, ১৭১টি মৌজা ও ১৮৯টি গ্রাম রয়েছে।

ความคิดเห็น • 2