วีดีโอ

কল্কি অবতার প্রসঙ্গে আজকাল ইউটিউবে এবং বিভিন্ন পুস্তকে অনেকের মতবাদ ও বিশ্বাসের পক্ষে ও বিপক্ষে ক্রমশঃ তাদের মতবিনিময় উঠে এসেছে। তাই বিভিন্ন পন্থে এবং মতবাদে বিশ্বাসীরা যার যার মতবাদকে প্রাধান্যতা দিতে বা প্রতিষ্ঠিত করতে নানা তর্ক যুক্তি সহ বিভিন্ন বক্তাদের ভবিষ্যদ্বাণী প্রাচার চালাচ্ছেন। পিছিয়ে থাকেননি ইসলামে বিশ্বাসী বিশেষ এক সম্প্রদায়ের মানুষ যারা নবীকে-ই কল্কি অবতার দাবী করেন। এই রূপ দাবীর মধ্যে রয়েছেন- ঠাকুর শ্রীশ্রী অনুকূল চন্দ্র। তাঁর ভক্তরা উনাকেই কল্কি অবতার রূপে বিশ্বাস করেন, আবার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে ও অনেকে কল্কি অবতার দাবী করেন। কল্কি অবতার কোথায় কীভাবে এই পার্থিব জগতে জন্ম গ্রহণ করবেন, এবং তাঁকে কি ভাবে এবং কারা চিনতে পারবেন এই নিয়ে বিভিন্ন শাস্ত্রে নানা প্রতীকী ইঙ্গিত দেওয়া রয়েছে। সেই ইঙ্গিত ধরে বিভিন্ন মত ও পথে বিশ্বাসীরা তাদের ব্যক্তিগত ধারণা ও কল্পণা বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করেছেন, অনেকে ইতিমধ্যে মন্দির তৈরি করে সাদা ঘোড়া 🐎 র উপর কল্কির কল্পনা করে বাস্তব রূপ প্রকাশ করেছেন। নেতা মন্ত্রীরাও ছুটে যাচ্ছেন ঐ মন্দিরে কিন্তু যা কিছুই হচ্ছে সব কিছু র প্রেক্ষাপটে রয়েছে শাস্ত্রের উল্লেখিত ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতীকী ভবিষ্যদ্বাণী। সুতরাং যার যার মতবাদ প্রকাশের অধিকার সকলের রয়েছে, কিন্তু ব্যক্তিগত মতবাদকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দলভারী করার যেন এক অদ্ভূত প্রবনতা দেখা যাচ্ছে তাই তথ্য যুক্তি এবং বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে যদি যার যার বক্তব্য (দাবী ) পেশ করা হয় তবে নিরপেক্ষতার দৃষ্টি আকর্ষণ করার অভিপ্রায়টি প্রকট হবে -এমনটা বাস্তববাদীরা মনে করেন। বিশ্লেষণমুখীরা সকলের কথা গ্রহন করবেন এবং যুক্তির দ্বারা প্রত্যাখ্যান করবেন এটাই স্বাভাবিক । এর মাঝে যদি ব্যক্তিগত আস্থা ও বিশ্বাস অন্তরায় হয়ে ওঠে তবে এটা স্বাভাবিকভাবেই পরিলক্ষিত হবে যে যার যার দাবী সীমাবদ্ধ বিচার বুদ্ধির কল্পনা প্রসূত যা বাস্তববাদীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। হয়তো এখানে কেউ২ আবেগের বশবর্তী হয়ে বলবেন বিশ্বাসে কৃষ্ণ পায় তর্কে বহুদূর! যদি তাই হয় তবে এই প্রশ্ন উঠবে কৃষ্ণ দেখতে কেমন?- তখন এরাই আবার বলবেন যার যার মনে যেমন! তাহলে কৃষ্ণের পরিভাষা যার যার বিচার বুদ্ধি অর্থাৎ মাত্রাজ্ঞানে একেক রকম হয় এটা বলা হচ্ছে। তাহলে মাত্রা জ্ঞানের আঁধারে একেক জনের মত ও পথ ভিন্ন হলেও যদি কৃষ্ণকে জানার জন্য সঠিক তত্ত্ব যুক্তি বিজ্ঞান ও গণিত ভিত্তিক আলোচনা করা হয়, তা'হলে কৃষ্ণের প্রতি দ্বন্দ্ব থাকবে না-যে কৃষ্ণ দেখতে কেমন!? তখন এই কথাও অপ্রাসঙ্গিক বলে বিবেচিত হবে- "কৃষ্ণ যার যার মনে যেমন। " সুতরাং কল্কি অবতার সম্পর্কে আলোচনা করার আগে বাস্তববাদীর ন্যায় সকলের মতামতকে গ্রহনের মাধ্যমে বর্জন করতে হবে, তার পর যার যার বিশ্লেষণ- যতটুকু প্রমাণে প্রমাণিত করা সম্ভব ততটুকুই তথ্যের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের কাছে রাখতে হবে। কল্কি অবতার প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করার আগে যে বিষয়টি জনগনের সামনে আনা জরুরি হবে সেটি হল মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য দেব কে ছিলেন সেই সম্পর্কে জানা এবং পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে কী ভাবে রহস্যময়ভাবে তিনি হারিয়ে গেলেন, এবং মহাপ্রভু তাঁর (পুনরাগমনা চ" সম্পর্কে) মাতুল বিষ্ণু দাস ঠাকুর কে কী ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন সেই বিষয়ে পরিস্কার হতে হবে। শুরুতেই যদি ভূল থাকে তবে সবটাই ভূল পথে যাওয়া হবে। কল্কি অবতার কী জন্ম নিয়েছে বা নেবেন এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে, কিন্তু এর সমাধান করতে পারে মাতুলকে দেওয়া মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎবাণী এবং পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে মহাপ্রভুর অন্তর্ধান রহস্য যদি উন্মোচন করা হয়।- সেই বিষয়ে পরিস্কার না হলে কল্কি কবে এবং কোথায় আবির্ভূত হবেন এটি একটি ধারনা এবং 🐦‍🔥 কল্পনায় থেকে যাবে যতক্ষন না কল্কি স্বয়ং নিজেকে প্রকট করেছেন। "সম্ভল", "বিষ্ণু যশ", "সুমতি" শব্দ গুলোর প্রতীকী অর্থে লুকিয়ে আছে কল্কির আগমন বার্তা এবং মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎবাণীর মধ্যে রয়েছে তাঁর পরবর্তী ঘটনা। সম্ভল অর্থ দেবভূমি -যেখানে কুলীন ব্রাহ্মণ (জ্ঞানী) পরিবারে বিষ্ণুযশ সম্পন্ন উপাধি "জগন্নাথ" নাম যিনি ধারন করবেন তিনি ই কী কল্কির পিতা হবেন! এই বিষয়ে গবেষণা করে এগোতে হবে....... কিন্তু মহাপ্রভুর প্রতি একশ্রেনী পন্ডিতের অলার্জি রয়েছে যারা পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের সত্য আড়ালে রাখতে চায়।

কল্কি অবতার প্রসঙ্গে আজকাল ইউটিউবে এবং বিভিন্ন পুস্তকে অনেকের মতবাদ ও বিশ্বাসের পক্ষে ও বিপক্ষে ক্রমশঃ তাদের মতবিনিময় উঠে এসেছে। তাই বিভিন্ন পন্থে এবং মতবাদে বিশ্বাসীরা যার যার মতবাদকে প্রাধান্যতা দিতে বা প্রতিষ্ঠিত করতে নানা তর্ক যুক্তি সহ বিভিন্ন বক্তাদের ভবিষ্যদ্বাণী প্রাচার চালাচ্ছেন। পিছিয়ে থাকেননি ইসলামে বিশ্বাসী বিশেষ এক সম্প্রদায়ের মানুষ যারা নবীকে-ই কল্কি অবতার দাবী করেন। এই রূপ দাবীর মধ্যে রয়েছেন- ঠাকুর শ্রীশ্রী অনুকূল চন্দ্র। তাঁর ভক্তরা উনাকেই কল্কি অবতার রূপে বিশ্বাস করেন, আবার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে ও অনেকে কল্কি অবতার দাবী করেন। কল্কি অবতার কোথায় কীভাবে এই পার্থিব জগতে জন্ম গ্রহণ করবেন, এবং তাঁকে কি ভাবে এবং কারা চিনতে পারবেন এই নিয়ে বিভিন্ন শাস্ত্রে নানা প্রতীকী ইঙ্গিত দেওয়া রয়েছে। সেই ইঙ্গিত ধরে বিভিন্ন মত ও পথে বিশ্বাসীরা তাদের ব্যক্তিগত ধারণা ও কল্পণা বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ করেছেন, অনেকে ইতিমধ্যে মন্দির তৈরি করে সাদা ঘোড়া 🐎 র উপর কল্কির কল্পনা করে বাস্তব রূপ প্রকাশ করেছেন। নেতা মন্ত্রীরাও ছুটে যাচ্ছেন ঐ মন্দিরে কিন্তু যা কিছুই হচ্ছে সব কিছু র প্রেক্ষাপটে রয়েছে শাস্ত্রের উল্লেখিত ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতীকী ভবিষ্যদ্বাণী। সুতরাং যার যার মতবাদ প্রকাশের অধিকার সকলের রয়েছে, কিন্তু ব্যক্তিগত মতবাদকে প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দলভারী করার যেন এক অদ্ভূত প্রবনতা দেখা যাচ্ছে তাই তথ্য যুক্তি এবং বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে যদি যার যার বক্তব্য (দাবী ) পেশ করা হয় তবে নিরপেক্ষতার দৃষ্টি আকর্ষণ করার অভিপ্রায়টি প্রকট হবে -এমনটা বাস্তববাদীরা মনে করেন। বিশ্লেষণমুখীরা সকলের কথা গ্রহন করবেন এবং যুক্তির দ্বারা প্রত্যাখ্যান করবেন এটাই স্বাভাবিক । এর মাঝে যদি ব্যক্তিগত আস্থা ও বিশ্বাস অন্তরায় হয়ে ওঠে তবে এটা স্বাভাবিকভাবেই পরিলক্ষিত হবে যে যার যার দাবী সীমাবদ্ধ বিচার বুদ্ধির কল্পনা প্রসূত যা বাস্তববাদীর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। হয়তো এখানে কেউ২ আবেগের বশবর্তী হয়ে বলবেন বিশ্বাসে কৃষ্ণ পায় তর্কে বহুদূর! যদি তাই হয় তবে এই প্রশ্ন উঠবে কৃষ্ণ দেখতে কেমন?- তখন এরাই আবার বলবেন যার যার মনে যেমন! তাহলে কৃষ্ণের পরিভাষা যার যার বিচার বুদ্ধি অর্থাৎ মাত্রাজ্ঞানে একেক রকম হয় এটা বলা হচ্ছে। তাহলে মাত্রা জ্ঞানের আঁধারে একেক জনের মত ও পথ ভিন্ন হলেও যদি কৃষ্ণকে জানার জন্য সঠিক তত্ত্ব যুক্তি বিজ্ঞান ও গণিত ভিত্তিক আলোচনা করা হয়, তা'হলে কৃষ্ণের প্রতি দ্বন্দ্ব থাকবে না-যে কৃষ্ণ দেখতে কেমন!? তখন এই কথাও অপ্রাসঙ্গিক বলে বিবেচিত হবে- "কৃষ্ণ যার যার মনে যেমন। " সুতরাং কল্কি অবতার সম্পর্কে আলোচনা করার আগে বাস্তববাদীর ন্যায় সকলের মতামতকে গ্রহনের মাধ্যমে বর্জন করতে হবে, তার পর যার যার বিশ্লেষণ- যতটুকু প্রমাণে প্রমাণিত করা সম্ভব ততটুকুই তথ্যের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের কাছে রাখতে হবে। কল্কি অবতার প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু করার আগে যে বিষয়টি জনগনের সামনে আনা জরুরি হবে সেটি হল মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য দেব কে ছিলেন সেই সম্পর্কে জানা এবং পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে কী ভাবে রহস্যময়ভাবে তিনি হারিয়ে গেলেন, এবং মহাপ্রভু তাঁর (পুনরাগমনা চ" সম্পর্কে) মাতুল বিষ্ণু দাস ঠাকুর কে কী ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন সেই বিষয়ে পরিস্কার হতে হবে। শুরুতেই যদি ভূল থাকে তবে সবটাই ভূল পথে যাওয়া হবে। কল্কি অবতার কী জন্ম নিয়েছে বা নেবেন এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে, কিন্তু এর সমাধান করতে পারে মাতুলকে দেওয়া মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎবাণী এবং পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরে মহাপ্রভুর অন্তর্ধান রহস্য যদি উন্মোচন করা হয়।- সেই বিষয়ে পরিস্কার না হলে কল্কি কবে এবং কোথায় আবির্ভূত হবেন এটি একটি ধারনা এবং 🐦‍🔥 কল্পনায় থেকে যাবে যতক্ষন না কল্কি স্বয়ং নিজেকে প্রকট করেছেন। "সম্ভল", "বিষ্ণু যশ", "সুমতি" শব্দ গুলোর প্রতীকী অর্থে লুকিয়ে আছে কল্কির আগমন বার্তা এবং মহাপ্রভুর ভবিষ্যৎবাণীর মধ্যে রয়েছে তাঁর পরবর্তী ঘটনা। সম্ভল অর্থ দেবভূমি -যেখানে কুলীন ব্রাহ্মণ (জ্ঞানী) পরিবারে বিষ্ণুযশ সম্পন্ন উপাধি "জগন্নাথ" নাম যিনি ধারন করবেন তিনি ই কী কল্কির পিতা হবেন! এই বিষয়ে গবেষণা করে এগোতে হবে....... কিন্তু মহাপ্রভুর প্রতি একশ্রেনী পন্ডিতের অলার্জি রয়েছে যারা পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের সত্য আড়ালে রাখতে চায়।