วีดีโอ

সুন্দর স‍্যার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স‍্যার❤

অসাধারণ হয়েছে, স্যার।

অসাধারণ,,,

কবিতার মাধ্যমে নাগরিক জীবনের অবিরাম ছুটে চলা দারুণভাবে বোঝানো হয়েছে। আধুনিক জীবনের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে নগরের মাঝে ব্যস্ততা নিয়ে অবিরাম বয়ে চলা। কেননা নাগরিক জীবনে টিকে থাকার জন্য করতে হয় লড়াই সংগ্রাম। এখানে আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হয়। তেমনি টাকার মেশিন কাব্যগ্রন্থ দ্বারা মানুষের জীবনের বাস্তবতাকে বোঝানো হয়েছে। নগরায়নের ফলে মানুষ গ্রাম থেকে শহরে ছুটছে জীবনের তাগিদে ফলে তার কর্মব্যস্ততা তৈরি হচ্ছে আর এভাবেই সে সামাজিক জীবন থেকে ছিটকে যাচ্ছে ফলে তৈরি হচ্ছে একাকিত্ব। মানুষের মধ্যে এভাবেই তৈরি হচ্ছে হিংস্রতা বর্বরতা থাকছে না সামাজিক কোন দায়বদ্ধতা। বিংশ শতাব্দীতে মানুষের মাঝে এমন হাহাকার বেশি লক্ষ্য করা যায় মানুষ কেবল ছুটে চলে সম্পদের দিকে নিজের প্রতি পরিবারের প্রতি সমাজের প্রতি তার কোন দায়বদ্ধতা আছে এটা সে ভুলে যায়। ফলে আত্মকেন্দ্রিক মনোভাব তৈরি হয় যার ফলে সে সবসময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে। এগুলো আধুনিক জীবনের প্রভাব যা মানুষকে প্রতিনিয়ত গ্রাস করছে।

আধুনিক জীবনে মানুষ মানুষের থেকে দূরে কেননা সমাজ ভেঙে যাচ্ছে পরিবার ভেঙে যাচ্ছে এভাবে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে দূরত্ব যার ফলে মানুষ নিজেকে নিয়েছে গুটিয়ে। ঠিক সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো একবার ঢেউ আসে আবার নেমে যায়। সমুদ্রের জোয়ার ভাটার মতো মানুষের জীবন আজ কথা রাখতে পারে না ফলে মানুষ দেখিয়ে দেয় বাস্তবতা গুনে নিতে বলে ঢেউ। এভাবে কবি আধুনিক জীবনের ব্যাখা দিযেছেন কবিতার মাধ্যমে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলে মানুষের মধ্যে সামাজিক ভাঙ্গন রাষ্ট্রীয় রোষানল ব্যক্তিক দ্বন্দ্ব প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। যার ফলে মানুষ নিজের অস্তিত্বের বিলীনতা রক্ষায় নিজের সাথে বারংবার যুদ্ধে মেতেছে। এর ফলে নিজের ভেতরে সৃষ্টি হয়েছে একাকিত্ব। এভাবেই সে হয়েছে একা সমুদ্রের মতো একা। সামাজিক অবক্ষয় ব্যক্তিত্বের অবক্ষয় আধুনিক জীবনে এনে দিয়েছে উদাসীনতা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের নিয়ম।

বাস্তবতার প্রকৃষ্ট উদাহরণ কবিতাটি। শুনে মুগ্ধ হলাম। বিংশ শতাব্দীর মানুষের মনে যে হাহাকার বেদনা কষ্ট সবকিছু এই কবিতার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। মানুষের না-পাওয়ার বেদনা হারানোর বেদনা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার যে আত্মগ্লানি সেটা দেখানো হয়েছে কবিতায়। যান্ত্রিক পৃথিবীতে সমাজে মানুষের মধ্যে যে দূরত্ব এই দূরত্বের জন্যই তো মানুষ আজ বড় একা। নিজের সাথে সে নিজেই লড়ে যাচ্ছে কখনো সমাজের কাছে প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে কখনো বা আপনজনের কাছে। সভ্যতার এই যান্ত্রিকতা নাগরিক জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে তা এ-ই কবিতার মাধ্যমে উপলব্ধি করা যায়। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণী। কবি আধুনিক জীবনের এই বাস্তবতাকে কবিতায় দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। নব্য পুঁজিবাদীর ফলে মধ্যবিত্ত শ্রেণী ভেঙে যাচ্ছে তৈরি হচ্ছে নাগরিক জীবন যেখানে নগর কেন্দ্রীক জীবন ব্যবস্থা তৈরি করছে ধরনের হাহাকার বিচ্যুতি যা তাকে ক্রমাগত বাস্তবতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই মানুষের মধ্যে বিচ্ছেদ ব্যবধান তৈরি হচ্ছে যা বোঝানো হয়েছে কবিতার মাধ্যমে। ধন্যবাদ

নাগরিক অবসাদে ক্লান্ত কবি বৃষ্টির প্রতীকে একদন্ড প্রশান্তির আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।আধুনিক সভ্যতার জমকালো রঙিন আলোক সজ্জার মুখোশী সম্পর্কের বাহিরে কবি একান্ত মনে সাদা-কারো মেঘের আশ্রয় চেয়েছেন। যেখানে যান্ত্রিক কর্ম ব্যস্ততা,কবি ও কবির প্রেয়সীর মাঝে কোন পর্দা সৃষ্টি করতে পারবেনা।বৃষ্টিস্নাত প্রকৃতিতে কবি হৃদয় তরীরে অবগাহন করতে চেয়েছেন।কবির প্রিয়তমাকে নিয়ে একান্ত মনে উপভোগ করতে চায় নীলরাঙা বৃষ্টিকে।ভেসে যেতে চায় মেঘের ভেলায়। কিন্তু সচেতন কবি আধুনিক মানস ও সময়কে খুব ভালোভাবেই জানেন-সময় প্রবহমান, মানুষ ক্ষণজীবী, জীবন সংকীর্ণ! তাইতো কবি বলেন- সময় পাবেনা কোনো হয়তো মেঘ ভেসে গেলে সারা বেলা কখনো পাবেনা ফিরে হয় তো। এই তো আধুনিক জীবন... যার রূপায়ণ এই কবিতা।

ক্ষণবাদী দার্শনিক কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত এর ক্ষণিকের মধ্যে শাশ্বতের উপলব্ধি এই কবিতার মূলভাব।কবির আজীবন লালিত দার্শনিক আর্দশের বিপরীতে গিয়ে এই প্রথম বিশ্বাস স্থাপন করলেন শাশ্বতের প্রতি। সমাজ ও সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তিত হয় সমাজ মানসিকতা।এই নবমূল্যায়ণলব্ধ জীবনবোধ ফুটে উঠেছে প্রেম সম্পর্কে কবির উপলব্ধি। আমরা রবীন্দ্র কাব্যে দেখতে পাই -অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে কবির প্রেম গতিশীল থেকেছে 'যুগল প্রেমের স্রোতে '।তাই 'জনমে জনমে অনিবার' প্রিয়তম ব্যক্তিটি পুনরায় এসেছে। কিন্তু আধুনিক কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত ভিন্ন সুর শুনিয়েছেন -এখানে সম্পর্ক জন্ম -জন্মান্তরের দূরের কথা, এক জন্মও স্থায়িত্ব পায়নি।ভৌগোলিক অবস্থানগত কিংবা কালের নিরিখে যে সম্পর্কের সমাপ্তি দেখানো হয়েছে, হৃদয় কুঠিরে যে জায়গা করে নিয়েছে শাশ্বত জীবনবোধে। কবিতার প্রথমেই আমরা দেখতে পাই কোনো এক বর্ষাশেষে অবেলার অবসরে সূর্যালোকের লুকোচুরি খেলায় প্রকৃতি ব্যস্ত,তখন কবির প্রেমিকা এসে হাত রেখেছিল হাতে,চেয়েছিল সহজিয়া অনুরাগে, প্রিয়তমার আনত দিঠির মধ্যে প্রেমের প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন। এই মুহূর্ত ছিল ক্ষণিকের আবার শাশ্বত উপলব্ধি। কবির ভাষায়- একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী ; একটি নিমেষ দাঁড়ালো ধরনী জুড়ে থাকিল কালের চিরচঞ্চল গতি মর্তে কবির এই স্বর্গ প্রাপ্তি বাস্তবের মাটিতে স্থায়িত্ব পায়নি,কেননা শ্রান্ত বর্ষার ক্লান্তি অতিক্রম করে শরতের শুভলগ্ন আগত হলেও কবির প্রিয়তমার সাথে আর মিলন হবেনা।কারণ- আজ সে কেবল আর কারে ভালোবাসে। এখানে কবির প্রিয়তমার কাছে প্রেমের অবস্থান পাল্টেছে। প্রেমের শাশ্বত রূপের হাত ধরে নব নীড় নির্মান করেছে।যদিও তা বনলতার মত দুদন্ড শান্তি দেওয়ার পর আর পুনর্মিলন ঘটেনি।তবুও এ ক্ষন্তিত সত্তাকেই কবি মানসিক ভাবে শাশ্বত হিসেবে গড়ে তুলেছেন - সে ভোলে ভুলুক,কোটি মন্বন্তরে আমি ভুলিবনা,আমি কভু ভুলিবোনা।

সুন্দর

দারুন

সুন্দর

অভিভূত হলাম! নিজে যা উপলব্ধি করলাম তা লেখার চেষ্টা করলাম.... প্রত্যাখ্যান,আধুনিক জীবনবোধের এক নির্মম বাস্তবতা। যান্ত্রিক মানুষে আজ পৃথিবী পরিপূর্ণ। মানুষের যে স্বাভাবিক হৃদয়বৃত্তি তা আজ লুপ্ত প্রায়।আধুনিক সভ্যতার আলোক ঝলকানিতে মানুষ আজ বিচ্ছিন্ন। নব্য পুঁজিবাদের প্রবল ধাক্কায় গ্রামীণ সমাজ ভেঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে মধ্যবিত্ত নাগরিক সমাজ।যে মধ্যবিত্ত শ্রেণী বাধ্য হচ্ছে তার শিকড়কে ভুলে যেতে।এই যে নাগরিক জীবনের প্রথম যাত্রাটায় ঘটে নিজের শিকড় কে প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে! আর শিকড়ের প্রত্যাখ্যানটা এক হিসাবে নিজের কাছে নিজের সেই সত্ত্বারই প্রত্যাখ্যান! সময়ের কাছে সময়ের প্রত্যাখ্যান, যান্ত্রিকতার কাছে হৃদয়ের প্রত্যাখ্যান,প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার প্রত্যাখ্যান। সমাজ থেকে সমাজের প্রত্যাখ্যান। কবি,আধুনিক জীবনের সেই নির্মম অন্তর্দাহকে তাঁর কবিতায় জীবনের দৈনন্দিন অনুষঙ্গে চিত্রত করেছেন। চা,এবং চা-য়ের কাপের যে স্বাভাবিক মিথস্ক্রিয়া তা সময়ের প্রভাবে ভেঙ্গেক পড়ছে... কাপ কার চা-য়ের তাপ আর সহ্য করতে পারছেনা...সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে,অভিমানে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে! এটাই তো আধুনিক জীবনের প্রত্যাখ্যান! চা এবং কাপের রূপকে সেই আধুনিক মানব এবং সম্পর্কের প্রত্যাখ্যানেরই প্রকাশ ঘটিয়েছেন কবি।আধুনিক শহুরে জীবনে পাশাপাশি থেকেও মানুষ যেমন একা, বিচ্ছিন্ন... কারো দুঃখ অভিমান বোঝার কেউ নেই,বরং একজনের পতনে যেন মনে হয় নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী কমে গেল।একটি কাপের পতনে অন্য কাপের হাঁসি সেই দিকেরই প্রকাশ। সহানুভূতিহীন মানব সভ্যতায় তাই তো প্রতিনিয়ত মানুষ একে অপরের কাছে প্রত্যাখিত।

'বাগানের মালিক হয়ে নয় মাটির গন্ধে হবো মুগ্ধ ' লাইন দু'টো দ্বারা অসাধারণভাবে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ফুটে উঠেছে।

সুন্দর হয়েছে স্যার❤❤

Thank you for Subscribe this Channel (prothombd) : th-cam.com/channels/rc9C_n5_hO3GkCwzqZaTvA.html

Lyrics please?

Thank you for Subscribe this Channel (prothombd) : th-cam.com/channels/rc9C_n5_hO3GkCwzqZaTvA.html (কিযে একা একা লাগে ) কিযে একা একা লাগে জানো কী তুমি জানো কী কালো কালো মেঘ এসে জমে বড় একা একা লাগে তুমি মানো কী ? নীল নীল আকাশের বুকে থর থর মেঘ জমেছে শুধু আমায় ভেবে কাছে তুমি টানো কী? আমার বুকে আজ বৃষ্টি-নূপুর বাজে তুমি মানো কী? ধীরে ধীরে জলকণা চোখে ছলো ছলো মেঘ কেঁদেছে শুধু আমায় ভেবে পাশে তুমি কাঁদো কী? আমার বুকে আজ শূন্য-দুপুর বাজে তুমি মানো কী?

খুব সুন্দর হয়েছে ❤ আমি মুগ্ধ হয়ে আপনার পরিবারের নতুন সদস্য হলাম ❤ আমন্ত্রণ রইল মনে করে আসবেন ❤

❤❤

অনেক সুন্দর হয়েছে প্রিয় স্যার❤️❤️❤️

Outstanding

Background Music tar sound aro soto hole valo hoto.

সুন্দর 🌸❤️

গানের কথা ও কন্ঠ অসাধারণ। শুভকামনা রইল।

সুন্দর 🥰

সুন্দর হয়েছে স্যার ❤

❤❤❤❤

অনেক সুন্দর একটা লিখুনি স্যার।

অসাধারণ! অনেক ধন্যবাদ প্রিয় জহুরি ভাই।

❤❤❤

গল্পটা অসাধারণ।

ভালো লাগল। লেখার চর্চা অব্যহত রেখো। পাঠও সুন্দর, মনটা স্পর্শ করে গেল।

সমৃদ্ধ রচনা।

হেক্টর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চাই স্যার❤️

চমৎকার পাঠ! ধন্যবাদ সৈয়দ তৌফিক জুহরী। ❤

সুন্দর আলোচনা Sir

খুবই মনোমুগ্ধকর আলোচনা। ধন্যবাদ স্যার।

সুন্দর স্যার❤

ধন্যবাদ স্যার

দেবী হেরা এবং এথেনা একিয়ানদের যুদ্ধে সহায়তা করে না স্যার? 10:32

ধন্যবাদ স্যার

সুন্দর আলোচনা

Hello

অসাধারণ ।

অসাধারণ ।

অসাধারণ ।

Excellent.

💖💖💖💖

ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক স্যার... অনেক উপকার হচ্ছে আমাদের ।

ভিডিওটা খুবই ভালো লাগল স্যার, আত্নজীবনী নিয়ে হয়ত আর কোনো সমস্যা হবে না,আপনি খুবই তথ্যবহুল কথা বলেছেন,উপকৃত হলাম স্যার।