শাহ সুলতান বলখীর মাঝার ও জিয়ৎ কুন্ড
শাহ সুলতান মাজার
সুলতান মাজার
শাহ সুলতান মাজার বগুড়া
সুলতান সাহেবের মাজার
সুলতান শাহ ফকির
সুলতান মালিক শাহ
শাহ সুলতান মাজার নেত্রকোনা
মহাস্থানগড় ইতিহাস
মহাস্থানগড়ে কি কি আছে
মহাস্থানগড় ভ্রমণ
মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত
মহাস্থানগড় বেহুলার বাসর ঘর
মহাস্থানগড়ের কটকটি
মহাস্থানগড়ের ভিডিও
মহাস্থানের শাহ সুলতান বলখীর (রহ.) ইতিহাস বগুড়া জেলার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত এক বিখ্যাত ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও সুফি সাধকের কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। শাহ সুলতান বলখীর (রহ.) ছিলেন একজন সুফি দরবেশ, যিনি ইসলামের প্রচার এবং মানবতার কল্যাণে নিবেদিত ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানা যায় নানা কিংবদন্তি ও প্রাচীন ইতিহাস থেকে।
শাহ সুলতান বলখীর (রহ.)-এর আগমন:
শাহ সুলতান বলখীর (রহ.) ইরানের বলখ অঞ্চল থেকে মহাস্থানে আসেন। ধারণা করা হয়, তিনি ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে পা রাখেন। তিনি শত্রুদের পরাজিত করে এখানে ইসলামের আলো ছড়িয়েছিলেন। তাঁর আগমনের সময় এখানে বৌদ্ধ ও হিন্দু রাজত্ব ছিল।
অধিকার প্রতিষ্ঠা:
তাঁর সাথে রাজা পরশুরাম নামের একজন শক্তিশালী শাসকের সংঘর্ষ হয়েছিল। কিংবদন্তি মতে, বলখীর (রহ.) অলৌকিক শক্তি প্রদর্শন করে রাজাকে পরাজিত করেন এবং রাজ্যের একাংশে ইসলামের প্রচার চালান।
মাজার:
মহাস্থানগড়ের প্রাচীন এলাকায় শাহ সুলতান বলখীর (রহ.)-এর একটি মাজার রয়েছে। এটি আজও মুসলিমদের জন্য একটি পবিত্র তীর্থস্থান। প্রতিবছর এখানে অসংখ্য ভক্ত এসে তাঁর প্রতি সম্মান জানায় এবং দোয়া করেন।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব:
শাহ সুলতান বলখীর (রহ.)-এর আগমন এবং তাঁর প্রচেষ্টার ফলে মহাস্থান অঞ্চলে ইসলামের প্রসার ঘটে। ইতিহাসবিদদের মতে, তিনি শুধু ধর্ম প্রচারেই নয়, মানবতার সেবায়ও আত্মনিয়োগ করেন।