วีดีโอ

আস্তে ও জোরে আমীন বলার সমাধান। ✅==== মধ্যমপন্থা 🔷-----মুহাম্মদ উমর ফারুক ==বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম== যারা আস্তে আমীন বলা ও জোরে আমীন বলা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি করে থাকেন। একে-অপরকে অশালীন ভাষায় কটুকথা বলতেও পরিণতির ভয় করেন না। তাদেরকে আমার শিশুকালের ভাষায় বলি, "তোমরা ঝগড়া-ঝাটি মাফ করো, আমার 'গু' সাফ করো।" এভাবে ডায়ালগ দিয়ে ছোটবেলা দুই বন্ধুর ঝগড়া মিট-মাট করে দিতাম!.....আলহামদুলিল্লাহ তো, প্রিয়বন্ধুগণ! তোমরা যারা জোরে আমীন বল, তারা একটু সাউন্ড কমিয়ে দাও, আর যারা আস্তে আমীন বল, তারা একটু সাউন্ড বাড়িয়ে দাও। ব্যাস! কী! সুন্দর সমাধান হয়ে গেল। অর্থাৎ আস্তেও নয়, জোরেও নয়, এই দুইয়ের মাঝে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো। কেননা ইসলাম সদা-সর্বদা মধ্যমপন্থাকে পছন্দ করে। যেমন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, " উমর তুমি একটু আস্তে তেলাওয়াত করো, আর আবু বকর তুমি একটু জোরে তেলাওয়াত করো।" আল্লাহ পাক বলেন,...يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَرْفَعُوٓا۟ أَصْوَٰتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ ٱلنَّبِىِّ وَلَا تَجْهَرُوا۟ لَهُۥ بِٱلْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَٰلُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না...(সূরায়ে হুজুরাত ২) নবীগণের ওয়ারিশ হওয়ার কারণে, আলেমগণও এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত। নামাজরত অবস্থায় ইমামের আমীন বলার আওয়াজের চেয়ে মুক্তাদীর আওয়াজ বেশি উচুঁ হওয়া আদবের খেলাফ। এমন কি এ আয়াতের শেষে বলা হয়েছে যে, সারা জীবনের নেক-আমল নষ্ট হয়ে যাবে টেরও পাবে না। তাই মুক্তাদীর আমীন বলা যেন ইমামের আমীন বলার আওয়াজের চেয়ে বেশী উঁচু না হয়। অতএব জোরে আমীন বলতে গেলে বিপদে পড়ার আশংকা আছে। তাই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন। ‎ حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينِ بْنُ يَحْيَى الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذِهِ الْقِصَّةِ لَمْ يَذْكُرْ فَقَالَ لأَبِي بَكْرٍ ‏:‏ ‏"‏ ارْفَعْ مِنْ صَوْتِكَ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ وَلِعُمَرَ ‏:‏ ‏"‏ اخْفِضْ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ زَادَ ‏:‏ ‏"‏ وَقَدْ سَمِعْتُكَ يَا بِلاَلُ وَأَنْتَ تَقْرَأُ مِنْ هَذِهِ السُّورَةِ وَمِنْ هَذِهِ السُّورَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ كَلاَمٌ طَيِّبٌ يَجْمَعُ اللَّهُ تَعَالَى بَعْضَهُ إِلَى بَعْضٍ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏ كُلُّكُمْ قَدْ أَصَابَ ‏"‏ ‏. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুত্রে উপরোক্ত ঘটনা অনুরুপ বর্নিত।........ তিনি আবু বাকর (রাঃ) কে বলেন তুমি একটু উচ্চ স্বরে পড়বে এবং ‘উমার (রাঃ) কে বলেন তুমি একটু নিচু স্বরে পড়বে।..... ফুটনোট: [১৩৩০] বায়হাক্বী ‘সুনান’( ৩/১১) আবু দাউদের সানাদে এর অতিরিক্ত অংশ বাদে । সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৩৩০ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ----------------০-------------

আস্তে ও জোরে আমীন বলার সমাধান। ✅==== মধ্যমপন্থা 🔷-----মুহাম্মদ উমর ফারুক ==বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম== যারা আস্তে আমীন বলা ও জোরে আমীন বলা নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি করে থাকেন। একে-অপরকে অশালীন ভাষায় কটুকথা বলতেও পরিণতির ভয় করেন না। তাদেরকে আমার শিশুকালের ভাষায় বলি, "তোমরা ঝগড়া-ঝাটি মাফ করো, আমার 'গু' সাফ করো।" এভাবে ডায়ালগ দিয়ে ছোটবেলা দুই বন্ধুর ঝগড়া মিট-মাট করে দিতাম!.....আলহামদুলিল্লাহ তো, প্রিয়বন্ধুগণ! তোমরা যারা জোরে আমীন বল, তারা একটু সাউন্ড কমিয়ে দাও, আর যারা আস্তে আমীন বল, তারা একটু সাউন্ড বাড়িয়ে দাও। ব্যাস! কী! সুন্দর সমাধান হয়ে গেল। অর্থাৎ আস্তেও নয়, জোরেও নয়, এই দুইয়ের মাঝে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো। কেননা ইসলাম সদা-সর্বদা মধ্যমপন্থাকে পছন্দ করে। যেমন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, " উমর তুমি একটু আস্তে তেলাওয়াত করো, আর আবু বকর তুমি একটু জোরে তেলাওয়াত করো।" আল্লাহ পাক বলেন,...يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَرْفَعُوٓا۟ أَصْوَٰتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ ٱلنَّبِىِّ وَلَا تَجْهَرُوا۟ لَهُۥ بِٱلْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَٰلُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না...(সূরায়ে হুজুরাত ২) নবীগণের ওয়ারিশ হওয়ার কারণে, আলেমগণও এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত। নামাজরত অবস্থায় ইমামের আমীন বলার আওয়াজের চেয়ে মুক্তাদীর আওয়াজ বেশি উচুঁ হওয়া আদবের খেলাফ। এমন কি এ আয়াতের শেষে বলা হয়েছে যে, সারা জীবনের নেক-আমল নষ্ট হয়ে যাবে টেরও পাবে না। তাই মুক্তাদীর আমীন বলা যেন ইমামের আমীন বলার আওয়াজের চেয়ে বেশী উঁচু না হয়। অতএব জোরে আমীন বলতে গেলে বিপদে পড়ার আশংকা আছে। তাই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন। ‎ حَدَّثَنَا أَبُو حَصِينِ بْنُ يَحْيَى الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِهَذِهِ الْقِصَّةِ لَمْ يَذْكُرْ فَقَالَ لأَبِي بَكْرٍ ‏:‏ ‏"‏ ارْفَعْ مِنْ صَوْتِكَ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ وَلِعُمَرَ ‏:‏ ‏"‏ اخْفِضْ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ زَادَ ‏:‏ ‏"‏ وَقَدْ سَمِعْتُكَ يَا بِلاَلُ وَأَنْتَ تَقْرَأُ مِنْ هَذِهِ السُّورَةِ وَمِنْ هَذِهِ السُّورَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ كَلاَمٌ طَيِّبٌ يَجْمَعُ اللَّهُ تَعَالَى بَعْضَهُ إِلَى بَعْضٍ ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏:‏ ‏"‏ كُلُّكُمْ قَدْ أَصَابَ ‏"‏ ‏. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুত্রে উপরোক্ত ঘটনা অনুরুপ বর্নিত।........ তিনি আবু বাকর (রাঃ) কে বলেন তুমি একটু উচ্চ স্বরে পড়বে এবং ‘উমার (রাঃ) কে বলেন তুমি একটু নিচু স্বরে পড়বে।..... ফুটনোট: [১৩৩০] বায়হাক্বী ‘সুনান’( ৩/১১) আবু দাউদের সানাদে এর অতিরিক্ত অংশ বাদে । সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ১৩৩০ হাদিসের মান: হাসান হাদিস ----------------০-------------