#thebongsuspense | Grihinir otripto basona | Subhodip ghosh | #HorrorSpecial
এ এস এম শুভজিত সান্যাল বীরভুম জেলার বাতাসপুর রেল স্টেশনে বদলী হয়েছেন। মানুষটা, বেশ মিশুকে স্বভাবের, বয়স অল্প হওয়ার জন্য শরীর স্বাস্থ বেশ সুন্দর! পরিবার পরিজন বলতে উনি, আর ওনার নববিবাহিত স্ত্রী। মা, বাবা গত হয়েছে অনেক বছর হলো। তখন থেকেই এই ঘুরে ঘুরে চাকরি করার বিষয়টা! বেশ ভালো লাগে শুভজিত এর! তবে এই জায়গাটা, শুভজিতের তেমন ভালো লাগেনি. চারিদিকে খালি ধু ধু করছে মাঠ। এই রাতের বেলায়ও খুব দূরে দূরে কিছু আলো দেখা যাচ্ছে শুধু! রাস্তাঘাটে ল্যাম্পপোস্ট থাকার কোনো বালাই নেই! শুভজিত এর আগে যেখানে ছিল সেই জায়গাটা বেশ পছন্দ হয়ে উঠেছিল ওর, মানুষজনের কাছেও বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছিল শুভজিত! কিন্তু তার যে কিছু করার নেই। এই বদলির কাজ তো ও নিজেই তো Request করে নিয়েছিল.. ( একটা দীর্ঘনিশাস ) যাকগে! এতো শত ভাবদে ভাবদে শুভজিত এসে পৌঁছোয় তার গন্তব্য বাস Stand'e! বাসটা এসে দাঁড়াতেই শুভজিতের যেনো হুস ফিরলো! সে বাস থেকে নেমে দাঁড়াতেই বাসটা আবার খুব দৌড়ে অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো! শুভজিত সেটা দেখে বেগগুলো হাতে তুলে নিয়ে এগিয়ে গেলো বাতাসপুর রেল কোয়াটার্স এর দিকে! আর মনে মনে ভাবদে থাকলো! এ কোথায় এসে পড়লো সে? এখানে যে কিছুই নেই.. চারিদিকে খালি ধু ধু করছে মাঠ।মাঝে এই রেল স্টেশন, আর ঠিক তার পিছনেই রেল কোয়ার্টারস। শুভজিত মনে অনেকটা অসন্তোষ প্রকাশ করলেও সে জানে এখন আর তার! কিছুই করার নেই। এই জায়গাটাই এখন কিছু মাসের জন্য হলেও ওর নতুন ঘর! শুভজিত হাতে নিজের ব্যাগ টা তুলে এগিয়ে গেলো কোয়াটার্স এর দিকে! কোয়াটার্স এর নিচে এসে পৌঁছতেই শুভজিতের চোখ পড়লো! অনেক বছরের প্রায় ধ্বংসবোশেষ কিছু ইমারতের ওপরে! তাদের চারিদিকের দেয়ালে বুনো গাছপালা ঘর বেঁধেছে!
শুভজিত ভালোভাবে লক্ষ করে দেখলো প্রথম ইমারতের ঠিক নিচে একটা ডিমডিমে লাইট চলছে!লাইটের আলোতে, ইমারতের কিছুটা অংশ আলোকিত হচ্ছে! আর সেই আলো আঁধাড়িতে! আবঝা দেখা যাচ্ছে সেই ইমারতে ঝুলতে থাকা একটা Board.. আর তাতে লেখা আছে! বাতাসপুর রেল কোয়াটার Sector1.. সেটা দেখে শুভজিতের মাথায় যেনো বাজ ফেটে পড়লো! আর মনে মনে শুভজিত ভাবলো! একি ভয়ঙ্কর জায়গা, এখানে যে লোকজন বলেও কিছু আছে তা তো মনে হয়না.. শুভজিত মনে অনেকটা হতাশ হয়ে ধ্বংসবোশেষ ইমারতের ভেতরে প্রবেশ করে! ভেতরে এসে ওর যেনো নোংরা একটা ভেপসা গন্ধতে গা টা গুলিয়ে ওঠে! অসহ্যকোর এক বিচ্ছিরি দুর্গন্ধ ছড়িয়ে রয়েছে এই জায়গার পুরো বাতাসে! শুভজিত এবার নাকে রুমাল চাপা দিয়ে এগিয়ে যায় Caretaker এর ঘরের দিকে! তার ঘরের সামনে এসে দাঁড়িয়ে দরজার করা নাড়তে শুরু করে শুভজিত! কয়েকবার ডাকার পর একটা লোক দরজা খুলে বাইরে আসে! শুভজিত সেই লোকটার আপাদমস্তক একবার ভালো করে দেখে নেয়! লোকটা বয়স্ক না হলেও, মোটামুটি বয়স হয়েছে, মাথায় একগাছা কাঁচা পাকা চুল তার, গেলভরা দাড়ি, মুখখানি বিবর্ণ.. পরনে লুঙ্গি এবং সেন্ড গেঞ্জি! শুভজিত একটু গলা ঝাড়িয়ে লোকটাকে বলে!
শুভজিত :- উমমমম! উহুহু!! আমি শুভজিত সন্ন্যাল এই রেল স্টেশনের জুনিয়র অফিসার!
সেই লোকটা শুভজিতের দিকে খানিকক্ষম ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো তার পর মাথা চুলকে! জিজ্ঞাসামূলক সরে শুভজিত কে বল্লো!
চুন্নিলাল পশয়ান :- নমস্তে বাবুজি! হামার নাম চুন্নিলাল পাসওয়ান আছে! হামি ইখানকার Caretaker আছি! লেকিন বাবুজি আপকা রেহেনেকা বন্দোবস্ত এখানে আছে কি?
শুভজিত এবার সেই প্রশ্নটা শুনে একটু রেগে যায়! একেতো সারাদিন বাসের এতটা Journey তারপর এমন নোংরা জায়গায় এই প্রশ্নোর উত্তরটা কি হতে পারে ওর মাথায় আসেনা.. শুভজিত মনে খাকিকটা রাগ জমিয়ে, প্যান্টের পকেট থেকে জায়গা বদলির খামটা বের করে! তার পর সেটাকে বার করে চুন্নি পশয়াণের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে।
শুভজিত :- আমি কি ইয়ার্কি করতে এমন একটা জায়গায় এই রাতের বেলায় আসবো? এটা কি জিনিস.. নিজে দেখেনিন তবে!
এবার সেই লোকটা শুভজিতের গলার এমন গম্ভীর্য সর শুনে একটু চমকে যায়! তার পর শুভজিতের সামনে বিনয়ী হয়ে বলে!
চুন্নিলাল :- বাবু হাময় মাফ করেন! পারনা লিখনা হামে কভু আয়া নেহি হামায় এই ইস্টাশনের বড় বাবু নৌকারই মে রাক্ষে হ্যাঁ! হামাকে মাপ করবেন,
এই গল্পটি প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য!
লেখা ও ভাবনায় : শুভদীপ ঘোষ
কন্ঠে :
শুভদীপ ঘোষ
সুস্মিতা ঘোষ
অঙ্কিতা ঘোষ
অনিমেষ পাল
পোষ্টার ডিজাইন :
অঙ্কিতা ঘোষ
কৌশিক পাল
Facebook :- profile.php?id=100011011779512&mibextbhoyspecial
#horror #grihinirotriptobasona #horrorstories #horrorstory #thebongsuspense #goppomirerthek #horrorspecial #sundaysuspence #horrorspeacial #horrormovies #scarystories
#thebongsuspense | Grihinir otripto basona | Subhodip ghosh | #HorrorSpecial