মুহাম্মদ (সা) এবং খাদিজা (রা) র বিয়ের গল্প ! SFF Media
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার বিয়ের ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত সুন্দর ও হৃদয়স্পর্শী একটি কাহিনী।
খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহার পরিচয়
হযরত খাদিজা (রা.) কুরাইশ বংশের একজন প্রভাবশালী এবং ধনী মহিলা ছিলেন। তার ব্যবসা ছিল বেশ বড় পরিসরে, এবং তিনি খুব বিচক্ষণ ব্যবসায়ী ছিলেন। খাদিজা (রা.) ছিলেন খুবই ন্যায়পরায়ণ, বিনয়ী, এবং সম্মানিত একজন মহিলা। তিনি এর আগে দুইবার বিবাহ করেছিলেন এবং দুবারই বিধবা হন।
হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সাথে পরিচয়
তৎকালীন সময়ে হযরত মুহাম্মদ (সা.) সততা ও বিশ্বস্ততার জন্য মক্কার মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন। একবার খাদিজা (রা.) তার ব্যবসা পরিচালনার জন্য একজন বিশ্বাসী সঙ্গী খুঁজছিলেন, এবং মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে তার ভালো ধারণা ছিল। তাই তিনি মুহাম্মদ (সা.)-কে তার ব্যবসার পরিচালনার জন্য নিয়োগ দেন। খাদিজা (রা.) মুহাম্মদ (সা.)-এর কর্মদক্ষতা এবং সততার প্রতি মুগ্ধ হন।
খাদিজা (রা.)-এর প্রস্তাব এবং বিয়ের পটভূমি
খাদিজা (রা.) মুহাম্মদ (সা.)-এর সততা, চরিত্র, এবং দায়িত্ববোধ দেখে আকৃষ্ট হন এবং তাকে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। সে সময় মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন প্রায় ২৫ বছর বয়সী এবং খাদিজা (রা.) ছিলেন ৪০ বছরের। খাদিজা (রা.)-এর প্রস্তাব মুহাম্মদ (সা.) গ্রহণ করেন। এরপর তাদের পরিবার পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং বিবাহ সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পরে সম্পর্ক
এই দম্পতি একটি স্নেহ ও ভালোবাসায় পূর্ণ জীবন কাটিয়েছিলেন। খাদিজা (রা.) ছিলেন মুহাম্মদ (সা.)-এর সর্বপ্রথম স্ত্রী, এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার সাথে মুহাম্মদ (সা.) অন্য কোনো বিবাহ করেননি। তাদের সংসারে আল্লাহ তায়ালা চার কন্যা এবং দুই পুত্র সন্তান দান করেন। তবে দুঃখজনকভাবে পুত্র সন্তানরা ছোটবেলাতেই মারা যান।
খাদিজা (রা.)-এর ইমান আনা ও সমর্থন
মুহাম্মদ (সা.) যখন নবুওয়াত প্রাপ্ত হন এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহি পেতে শুরু করেন, তখন খাদিজা (রা.) প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইসলামে ইমান আনেন। নবুওয়াতের শুরুতে যখন মুহাম্মদ (সা.) একা ছিলেন, তখন খাদিজা (রা.) তাকে চরমভাবে সমর্থন করেন এবং তাকে সাহস দেন। ইসলামের প্রচারকালে তিনি তার সম্পদ, সময় এবং মনের গভীরতা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন।
খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর শোক
খাদিজা (রা.)-এর মৃত্যু মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্য ছিল চরম বেদনার সময়। এই সময়কে ইসলামের ইতিহাসে “আমুল হুযন” বা "শোকের বছর" বলা হয়। তিনি খাদিজা (রা.)-কে আজীবন স্মরণ করতেন এবং তার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করতেন।
এই গল্প থেকে বোঝা যায় যে খাদিজা (রা.)-এর প্রতি মুহাম্মদ (সা.)-এর ভালোবাসা ও তাদের বিয়ে শুধু ভালোবাসার জন্যই নয়, বরং পারস্পরিক সম্মান, সমর্থন, এবং বিশ্বাসের জন্যও একটি মডেল।
Discover captivating and copyright-free music for creators, filmmakers, gamers, and beyond.
🎶 Explore diverse tracks, from soothing melodies to upbeat rhythms, all free to use in your content.
"Love what you hear? Every dollar keeps the music playing!"
🌟Thank you
Follow for original compositions.
#NoCopyrightMusic
Show less